সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কোহলিকে খোঁচা দিয়ে জুনাইদের পোস্ট

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪১ পিএম, ৭ এপ্রিল, ২০২৪

বিরাট কোহলির শতরান নিয়ে মশকরা করলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেটার জুনাইদ খান। রাজস্থানের বিপক্ষে ৬৭ বলে শতরান করেন বিরাট কোহলি। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৩-এর কাছাকাছি। আর সেই দেখেই সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিরাটকে খোঁচা দিলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ খান। ভাব সাব এমন যেন তার দল, পাকিস্তানের ব্যাটাররা বিশাল স্ট্রাইক রেটে রান করেন। কয়েক বছর আগের টি২০ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলির অতিমানবিয় ইনিংসের কথা বোধহয় তিনি ভুলে গেছেন, তাই এমনটা বলে ফেললেন জুনাইদ।  যার এই পোস্ট, তিনি নিজে খেলেছেন মাত্র ৯টি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ। তার থেকে এমন মন্তব্য আশা করাটা খুব একটা অস্বাভাবিক বিষয়ও নয়।

বিরাট কোহলির স্লো ইনিংসে নিয়ে বহু জায়গায় কথা হচ্ছে। প্রথমে সাওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামের পিচ দেখে কোহলিরা ভেবেছিলেন প্রায় ২০০-র কাছাকাছি রান উঠবে এই পিচে। কিন্তু পরে ১৮৩ রান নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ব্যঙ্গালোর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার শতরান করে ৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। বিরাটের থেকে বাটলারের স্ট্রাইক রেট বেশি থাকায় বিরাটের সমালোচনার সুযোগ পেয়ে যান সমালোচকরা। যদিও বিরাটের ১১৩ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি। সেই তুলনায় বাটলারের ইনিংসে বাউন্ডারির সংখ্যা কম ছিল। বাটলারের ব্যাট থেকে শতরানের ইনিংসে এসেছে ৯টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি।

বিরাটের শতরান নিয়ে পোস্ট করা জুনাইদ খান অবশ্য সৎ সাহস দেখাতে পারেননি তার ১১৩ রানের ইনিংসের স্ট্রাইক রেটের কথা বলে। কারণ সেই স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৫৭, যা টি২০ ক্রিকেটের জন্য খুব খারাপ নয়। আর সেটাও যদি দলের নাম হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু , যেখানে বাকি সব ব্যাটাররা আসেন ব্যাট করতে। কিন্তু কখনও পিচ রিড করতে না পেরে, কখনও বোলারের লেন্থ বুঝতে না পেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে চলে যান। আরও একটা বিষয় জুনাইদ বলতে ভুলে গেলেন, বিরাট ১১৩ রানের  ইনিংস খেলেছেন  ট্রেন্ট বোল্ট, নান্দ্রে বার্গার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহালদের বিপক্ষে। আর বাটলার শতরান করেছেন মহঃ সিরাজ, যশ দয়াল, মায়াঙ্ক দাগার, হিমাংশু শর্মা, ক্যামেরন গ্রিনদের বিপক্ষে।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জুনাইদ খান লিখেছেন, ‘বিরাট কোহলিকে অভিনন্দন আইপিএলে সব থেকে ধীর গতির শতরানের জন্য’। যদিও এটি বিরাট কোহলির টি২০ কেরিয়ারের অন্যতম ধীর গতির শতরান। তবুও পাকিস্তানের পরিসংখ্যানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে, তা অনেকের থেকেই ভালো।

পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়ক বাবর আজমের টি২০তে স্ট্রাইক রেট ১২৯, করেছেন ১০৯ ম্যাচে ৩৬৯৮ রান,পাকিস্তানের ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ানের টি২০তে স্ট্রাইক রেট ১২৭, করেছেন ৯০ ম্যাচে ২৯৮১ রান আর যাকে নিয়ে জুনাইদ খানের এই বক্তব্য সেই বিরাট কোহলি ১১৭ টি২০ ম্যাচে করেছেন ৪০৩৭ রান, স্ট্রাইক রেট ১৩৮।যদিও এই পরিসংখ্যান জুনেইদ খান জানেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।


একুশে সংবাদ/এস কে

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর