সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিশ্বকাপের আগে বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে টাইগারদের

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:০৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সুপার ফোর পর্বে পরপর দুই হারে এশিয়া কাপ  থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিদায় এখন  সময়ের ব্যপার মাত্র। মূলত বিশ্বকাপের আগে দলের এমন বাজে পারফরমেন্সে দলের বাস্তব চিত্রই ফুটে উঠেছে।  দলের এমন হতাশজনক পারফমেন্সর মূল কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা।

 

গ্রুপ পর্বে একমাত্র আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া এখন পর্যন্ত বাজে টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে বাজে পারফরমেন্স করেছে দলেল ব্যটাররা। যে কারণে  এ গ্রুপে পর্বে ১টি এবং সুপার ফোর পর্বে দু’টি ম্যাচে হার মানতে হয়েছে টাইগারদের।

 

গত দুই বছর ধরে ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব অব্যাহত থাকায় শেষ চার সিরিজের মধ্যে তিনটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৫ সাল থেকে ঘরের মাঠে অপরাজেয় থাকলেও সম্প্রতি ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হেরেছে তারা। এমনকি র‌্যাংকিংয়ের নিচের সারির দল জিম্বাবুয়ের কাছেও ওয়ানডে সিরিজ হারের লজ্জা পায় টাইগাররা।

 

এই দু’টি সিরিজের হারের পর প্রশ্ন উঠেছে ওয়ানডেতে কি তাহলে বাংলাদেশের শক্তি  লোপ পেয়েছে? ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলংকার কাছে ২১ রানের হার, ঐ প্রশ্নটি আবারও ডালপালা মেলেছে। লংকান বিপক্ষে ম্যাচের উইকেট মন্থর হলেও, ব্যাটিং করার জন্য খুব বেশি কঠিন ছিল না।

 

এর আগে লাহোরে ব্যাটিং স্বর্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২শর নীচে অলআউট হয়েছিলো বাংলাদেশ। এমনকি পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি তারা।

 

শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের পর সাকিব বলেন, ‘ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ থেকে গত ছয় মাস ধরে (ওয়ানডেতে) আমাদের ব্যাটিংয়ের মান  নিচের দিকে যাচ্ছে। এবার এই টুর্নামেন্টেও  সেটাই দেখা গেল এবং এটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’

 

এশিয়া কাপের এই হারে দলের বাস্তব চিত্রই  ফুটে উঠেছে  উল্লেখ করে সাকিব বলেন, বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের আগে এমন অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা দরকার।

 

সাকিব বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমরা আমাদের ব্যাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে। বিশ্বকাপের আগে আমাদের ভুলগুলো কীভাবে সংশোধন করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য বাস্তবতার পরীক্ষাই ছিল।’

 

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। টাইগারদের ফাইনাল খেলার সুযোগ আছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে, সেটা ঐ মাচের আগেই  জানা যাবে। অন্যান্য দলের ফলাফল ও রান রেট নিজেদের পক্ষে থাকার উপর নির্ভর করছে ফাইনালের মঞ্চে বাংলাদেশের জায়গা করে নেয়ার সম্ভাবনা।

 

সাকিব বলেন, ‘আমরা সবসময় দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভালো খেলি এবং আপনি বলতে পারবেন না আমরা খারাপ দল। কিন্তু এ ধরনের টুর্নামেন্টে আমাদের বড় পরীক্ষা হয়ে থাকে। এমন টুর্নামেন্টে আমরা ভাল করতে পারছিনা। ’

 

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭, ২০১১, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে বিশ্বকাপে তিনটি করে ম্যাচ জিতেছি আমরা। এটি নিয়ে মানুষ কিছু বলতে পারবে। কিন্তু আমরা বাস্তবতার পরীক্ষাতেই ব্যর্থ হই। এটি ভালো দিক যে, বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টটি হয়েছে এবং এসব সমস্যার সমাধান নিয়ে সবাই ভাববে । আমরা যাতে ভাল করতে পারি  তা নিয়ে সবাই চিন্তা করতে পারবে।’

 

নাইম শেখের মত কিছু ব্যাটারের সমালোচনা করতে নারাজ সাকিব বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকার মত দক্ষতা আছে।

 

সাকিব বলেন, ‘নাঈম রান পাচ্ছেন। হতাশ হবার কিছু নেই। চারটি ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছিলো সে, কিন্তু নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেনি।’

 

বিশ্বকাপ ম্যাচ ও ভ্রমন ক্লান্তির কথা মাথায় রেখে দলের খেলোয়াড়দের চাঙা রাখতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আরও কিছু ক্রিকেটারকে পরখ করা হবে বলে জানান সাকিব।

 

ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের আগে তিন দিনের ছুটি পাচ্ছে বাংলাদেশ। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে তিনটি ভিন্ন শহরে চারটি ম্যাচ খেলার কারনে দলে কিছু সমস্যা এবং ছোট ধরনের কিছু ইনজুরির সমাধান করা উচিত বলে মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

 

একুশে সংবাদ/স ক  

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর