সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জিততে হলে ঢাকার দরকার ১৬৫ রান

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফের আবার ঢাকায় এসে উপস্থিত হয়েছে। ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে ঢাকা ডমিনেটর্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের ষষ্ঠ হার ঠেকাতে আগে ফিল্ডিং করতে নেমেছে নাসির হোসেনের ঢাকা।

 

প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান তোলা কুমিল্লা শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৬৪ রান।ঢাকার বিপক্ষে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লার দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং লিটন দাস। তাসকিনের করা প্রথম ওভার থেকে আসে ১ রান।দ্বিতীয় ওভারে লিটন ও রিজওয়ান দুইজনে নেন ২ রান। এর মধ্যে অবশ্য রিজওয়ান ক্যাচ মিসের বদৌলতে বেঁচে যান।

 

তৃতীয় ওভারে আর বাঁচতে পারেননি রিজওয়ান। আল আমিন নিজের প্রথম ওভারে দারুণ এক ইনসুইঙ্গ ডেলিভারিতে বোল্ড করে ফেরান ২ রান করা রিজওয়ানকে।তাসকিনের করা পরের ওভার থেকেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি ইমরুল এবং লিটন। ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম চার ওভার থেকে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা নিতে পারে মাত্র ৯ রান।

 

ইনিংসের পঞ্চম ওভারের সময় আল আমিন দ্বিতীয়বারের মতো বোলিংয়ে আসলে সেই ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন লিটন এবং ইমরুল।পরের ওভার থেকে আবারও ১১ রান তুলে নেয় লিটন-ইমরুল। এক পর্যায়ে ১০ বলে ২ রান থেকে লিটন ১৯ বল খেলে করেন ২০ রান।

 

টানা দুই ওভারে বোলাররা ২৬ রান হজম করলে বোলিংয়ে আসেন অধিনায়ক নাসির। আর বোলিংয়ে এসেই প্রথম বলেই লিটনকে মিড উইকেটের ক্যাচে পরিণত করান। ২০ রানেই ফেরেন লিটন।এরপরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইমরুল এবং জনসন ইনিংস গড়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু দলীয় ৬৪ রানে আউট হয়ে যান ইমরুলও। আমির হামজার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৮ রান করেন ইমরুল। প্রথম ১০ ওভার শেষে কুমিল্লা ৩ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৬৪ রান।

 

অধিনায়ককে হারালেও একপ্রান্তে নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকেন জনসন চার্লস। দারুণ খেলতে থাকা চার্লস ফেরেন মোসাদ্দেক হোসেনের ভুল কলে রান আউট হয়ে। আউট হওয়ার আগে ৩২ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান।

 

চার্লস ফেরার পরও রানের গতি চলমান রাখেন খুশদিল শাহ। এই ব্যাটসম্যান ২টি করে চার-ছয়ে ১৭ বল খেলে ৩০ রান করে আউট হন। অন্যপ্রান্তে মোসাদ্দেক ব্যাট হাতে ছিলেন বিফল। ১১ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন।

 

শেষদিকে আবু হায়দার এবং জাকের আলীর ক্যামিও কুমিল্লাকে ১৬৪ রানের সংগ্রহ এনে দেয়।

 

জাকের ১০ বলে ২০ এবং আবু হায়দার ৮ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার পক্ষে অধিনায়ক নাসির মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন।

 

একুশে সংবাদ/আর টি/ সম

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর