সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সীমান্তে ভ্রাম্যমান মধু চাষে স্বাবলম্বী বেকার যুবকরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্ত অঞ্চলে বেকার যুবকেরা প্রাকৃতিক উপায়ে মধু চাষ করে সফলতা পেয়েছে।

 

জানা যায়, ঝিনাইগাতি উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের নওকুচি গ্রামের গোলাপ হোসেন ২০১৫ সালে এন.জি.ও ওয়াল্ডভিশন কতৃক মধু চাষের প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। প্রশিক্ষণ শেষে সীমান্ত অঞ্চলে প্রাকৃতিক উপায়ে ভ্রাম্যমাণ মধু চাষ শুরু করে। তার দেখা-দেখি দুধনই গ্রামের আব্দুল হালিম ও নওকুচি গ্রামের মহন মিয়া ভ্রাম্যমাণ মধু চাষে আগ্রহী হন। তারপর হালিম মিয়া ও মহন মিয়া ৪শ ভ্রাম্যমান মৌমাছির বক্স তৈরি করে, শুরু করে মধু সংগ্রহের কাজ।

 

মৌসুমের বিভিন্ন সময়ে মধু সংগ্রহের জন্য ৪শ ভ্রাম্যমান মৌমাছির বক্স ব্যবহার করে। সরিষা মৌসুমে সরিষার মধু সংগ্রহের জন্য সরিষা চাষের এলাকায় যায়। একই উপায়ে লিচু ও কালিজিরার মধু সংগ্রহের জন্য বক্স গুলি ব্যবহার করেন। প্রতি বছর ৪শ মৌমাছির বক্স ব্যবহার করে ৪/৫ টন মধু সংগ্রহ করে।

 

মৌ চাষী গোলাপ হোসেন জানান, প্রতি বছর ৫/৬ লক্ষ টাকার মধু বিক্রি করা যায়। মধুর পাশাপাশি মধুর চাক থেকে মোম সংগ্রহ করে বিক্রি করে ভালো মূল্য পাওয়া যায়। উৎপাদিত মধু প্রকারভেদে ভিন্ন ভিন্ন দামে বিক্রি হয়। চাহিদা অনুযায়ি সবচেয়ে দামি মধু হিসেবে কালিজিরা মধু। প্রতি কেজি কালিজিরা মধু ৮/৯ শত টাকা,  প্রতি কেজি লিচুর মধু ৭/৮ শত টাকা ও সরিষার মধু ৬/৭ শত টাকায় বিক্রি করা যায়।

 

তিনি আরো বলেন, মৌসুমি ফুল শেষ হলে পাহাড়ি এলাকায় মৌচাক বক্স গুলি স্থাপন করা হয়। এসব এলাকায় বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে মৌমাছিরা তাদের খাদ্য সংগ্রহ করে, এ সময় কোন মধু পাওয়া হয়না। 

 

বর্তমানে মধু সংগ্রহকারি হালিম ও মহন ৪শত মৌ বক্স নিয়ে অবস্থান করছে নওকুচি এলাকায়। চলতি মৌসুমে সরিষা ফুল ফোটার সাথে সাথেই চলে যাবে ফুল ফুটন্ত এলাকায়।

 

একুশে সংবাদ/রা.হো.প্রতি/পলাশ

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর