সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

করোনা: ভ্যাকসিনেই কি মুক্তি মিলবে?

প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। লকডাউন, স্বাস্থ্যবিধি ও সতর্কতার বেড়াজালে বদলে গেছে মানুষের জীবন যাপন। এ অবস্থায় ভ্যাকসিনেই ভরসা খুঁজছে সবাই।

ভ্যাকসিন এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন?

করোনাভাইরাস মহামারিতে বৈশ্বিকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৮ কোটিরও বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১৮ লাখেরও বেশি। ভাইরাস আতংক, লকডাউন সবমিলিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারাত্মকভাবে।

বৈশ্বিকভাবে ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে নেমেছে ২শ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান। ভ্যাকসিন রাজনীতি, ভ্যাকসিন বাণিজ্য এসব বিষয়েও কথা হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিন কেন এতো গুরুত্বর্পূণ হয়ে উঠলো?

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সমীর কুমার সাহা বলছেন, এর কারণ হচ্ছে ভ্যাকসিন ছাড়া এ‌ই মহামারি মোকাবেলার আর কোনো বাস্তবসম্মত এবং আপাত কার্যকর উপায় নেই।

বাংলাদেশে পাওয়ার ক্ষেত্রে যে ভ্যাকসিনটি এখন আলোচনায় আছে সেটি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এছাড়াও বৈশ্বিকভাবে আরো কিছু উৎস থেকেও ভ্যাকসিন পাওয়ার চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ।

যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাকসিন নেয়া মানেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকার গ্যারান্টি নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সাবেক প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাজুল ইসলাম এ বারি বলছেন, টিকা মানুষের শরীরে কতদিন কার্যকর থাকবে সেটা নিশ্চিত নয় কেউই।

টিকার সুরক্ষা কি মানুষের শরীরে তিন মাস থাকবে, ছয় মাস থাকবে নাকি একবছর থাকবে সে বিষয়ে কেউই নিশ্চিয় নয়। কারন এটা অজানা। এর পরে বুস্টার ডোজ নিতে হবে কি-না, সেটাও অজানা। সুতরাং টিকা নিলেও মানুষকে আরো কিছুদিন সতর্ক থাকতেই হবে।

চাইল্ড হেলথ রিসাচর্ব ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সমীর কুমার সাহা বলছেন, যে কোন টিকা আসার আগে বেশ কয়েকবছর সময় নিয়ে এর কার্যকারিতাসহ বিভিন্ন বিষয় দেখা হয়।

এবার একটি নজীরবিহীন পরিস্থিতি। ফলে অনেক কিছু নিয়েই প্রশ্ন আছে।

তবে তিনি এটাও বলছেন, কতদিন সুরক্ষা থাকবে সেটা অজানা হলেও সুরক্ষা যে পাওয়া যাবে এ বিষয়টা কোম্পানিগুলো পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছে।

বাংলাদেশে কত মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে?

কোনো একটি দেশে সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এলেই দেশব্যাপী সুরক্ষাবলয় তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সেক্ষেত্রে সংখ্যাটি হবে সাড়ে ১৩ কোটি'রও বেশি।

সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী টিকা সংগ্রহ এবং প্রয়োগে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যাবে। টিকার পরেও থাকবে স্বাস্থ্যবিধি

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলছেন, টিকার পরেও মানুষকে সামাজিক দুরত্ব, মাস্ত পরা অবব্যাহত রাখতে হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

একুশে সংবাদ/এআরএম

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর