সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দামে-ফলনে রঙিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন

প্রকাশিত: ০৭:৩২ পিএম, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলেও কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয়েছে ধানকাটা। এসময় নিকট আত্মীয়দের সমাগম ঘটবে বাড়িতে বাড়িতে। শত ব্যস্ততার মাঝেও নবান্নের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় কৃষকরা। মাঠে তাদের সোনালি স্বপ্ন বাতাসে দুলছে। 

এবার বাজার দর বেশ ভালো, ধানে ধানে ভরে উঠেছে মাঠ-প্রান্তর। সেই সাথে রঙিন হয়ে উঠেছে প্রান্তিক কৃষকের স্বপ্ন। মাঠজুড়ে এখন সোনালি স্বপ্নের ছড়াছড়ি। নতুন ধানের উপস্থিতিতে কৃষক পরিবারে লেগেছে আনন্দের ঢেউ। বাতাসে ভেসে আসছে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ। আর সেই আনন্দে আমন ধান কাটা শুরু করেছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। আজ অগ্রহায়ন মাসের প্রথম দিন আর কদিনের মধ্যে পুরোদমে আমন কাটার ধুম পড়ে যাবে বলছে কৃষি বিভাগ। 

গাজীপুরের সকল উপজেলায় এবার আমনের আশানুরুপ ফলন হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার মাঝেও ভাল ফলন পেয়ে খুশি কৃষক। কৃষি বিভাগের মতে, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তা সামান্য। বরং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে আর ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের ঘরে ঘরে এখন নবান্ন উৎসবরে আমেজ বিরাজমান। আত্মীয়-স্বজনের পিঠাপুলি খাওয়ানোর জোর প্রস্তুতি চলছে তাদের মধ্যে। 

প্রতি বছর আমনের ফলন ঘরে ওঠার পর নবান্ন উৎসব যেন বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। সরেজমিনে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার, গাজীপুর, বাঁশবাড়ি, নয়াপাড়া, ধুনয়া, পাথার, টেংরা, সাইটালিয়া, বরমী, কাওরাইদ, তেলিহাটি, রাজাবাড়ি, প্রহলাদপুর, পটকা, ধামলই, সিংগারদীঘি, নিজমাওনাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ধান কাটা নিয়ে। দিনমজুররা ধান কেটে আটি বেঁধে মাথায় করে কিংবা গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। সেখানে বাড়ির উঠানে অথবা মাঠের পাশে খোলা করে চলছে ধান মাড়াই করার কাজ। 

উপজলোর কাওরাইদ ইউনিয়নেরে ধামলই গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দনি, গাজীপুর ইউনিয়নের ধনুয়া গ্রামের বাবুল মিয়া ও টেংরা গ্রামের লোকমান হাকিম তারা জানান, ধানের আবাদ ভালো হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি র্কমর্কতার এ এস এম মূয়ীদুল হাসান বলেন, চলতি মৌসুমে প্রবল বর্ষণে ও ঝড়ে ধান ক্ষেতের ক্ষতি হলেও আমন চাষাবাদ ও ফলন ভাল হয়েছে। এবছর ১৩ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে। বাঙালির নবান্ন উৎসবের পাল্লা দিয়ে চলছে আমন ধান র্কতনের মহা উৎসব। চাষাবাদের জমির লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। এসব কারণে বাম্পার ফলন আশা করা হয়েছে। বাজারে নতুন ধানের দামও ভাল। ফলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর