সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মহানবী সা. যেভাবে নামাজ পড়তে বারণ করেছেন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:০৮ এএম, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

মানুষকে দেখানো যেকোনো আমলের পরিণতি ভয়াবহ। এক হাদিসে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত,  রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষকে শোনানোর জন্য এবং মানুষের নিকট প্রসিদ্ধি লাভ করার জন্য কোনো আমল করে— আল্লাহ তাআলা তার অবস্থা মানুষকে শুনিয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করে, আল্লাহ তাআলা তাকে রিয়াকারীর শাস্তি দেবেন। (বুখারি, হাদিস, ২/৯৬২; মুসলিম, হাদিস, ২/৪১২; তিরমিজি, হাদিস, ২/৬১; ইবনে মাজাহ, হাদিস, ২/৩১০; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ৩/৪০; শুয়াবুল ঈমান, হাদিস, ৫/৩৩০)

আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের উপর যে জিনিসটিকে বেশি ভয় করি, তা হলো- ছোট শিরক। সাহাবিরা বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! ছোট শিরক কী? তিনি উত্তর দিলেন, রিয়া। আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেবেন, তখন রিয়াকারীকে বলবেন- যাও দুনিয়াতে যাদের তোমরা তোমাদের আমল দেখাতে— দেখ তাদের নিকট কোনো সাওয়াব পাও কিনা?’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস, ২৩৬৮১)

মানুষকে দেখানোর জন্য নামাজ পড়াও ভয়ংকর অপরাধ। এ বিষয়ে হজরত আবু সাঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদের এমন বিষয় অবহিত করবো না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য মসীহ দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর? বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, হ্যাঁ, অবশ্যই। তিনি বলেন, গোপন শির্ক। মানুষ সালাত পড়তে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টির কারণে সুন্দরভাবে সালাত আদায় করে।’ (ইবনে মাজাহ)   

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, সাহাবিরা নিজেদের মধ্যে দাজ্জালের ফিতনার আলোচনা করত এবং তাকে খুব ভয় করত। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জানিয়ে দেন যে, এখানে এমন একটি বিপদজনক বিষয় রয়েছে যাকে তিনি দাজ্জালের ফিতনার চেয়ে অধিক ভয় করেন। আর তা নিয়ত ও ইচ্ছার মধ্যে শির্ক যা একজন মানুষের কাছে স্পষ্ট নয়। তারপর তিনি তার ব্যাখ্যা করেন যে আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা হয় সে আমলকে লোক দেখানোর জন্য সুন্দর করাই শির্ক।

একুশে সংবাদ/এস কে

ধর্মচিন্তা বিভাগের আরো খবর