সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বি. বাড়িয়ায় দূর্গা উৎসবকে সামনে রেখে চলছে প্রতিমায় রং তুলির সাজ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়ে শারদীয় দূর্গা উৎসব কে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরীর কাজ সহ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রস্তুতি পূজা উদযাপনের আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পাঁচদিনব্যাপী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে।

 

শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এ সময়ে দম নেয়ার ফুরসত নেই কারিগরদের।

 

জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০২১ সালে ৫৫৯ টি পূজামণ্ডপ হয়েছে। এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় পূজামণ্ডপ হবে ৬০৪ টি। গত বছরের তুলনায় এবার ৪৫টি পূজামণ্ডপ বেশি। জেলার নয় উপজেলাতেই ৩ থেকে ১২টি করে মণ্ডপ বেড়েছে। তাদের মধ্যে নাসিরনগরে ১৫১, নবীনগরে ১২৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ৭৮, বিজয়নগরে ৬৫, সরাইলে ৪৯, কসবায় ৪৯, বাঞ্ছারামপুর ৪৭, আখাউড়ায় ২২, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১৪টি মণ্ডপ হবে।

 

এ ছাড়া পূজা মণ্ডপগুলোতে নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ জোরদার ব্যবস্থা নিচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন। প্রত্যেকটি মণ্ডপে সিস ক্যামেরা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা জানিয়ে সূর্যাস্তের আগেই প্রতিমা বিসর্জন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শতাধিক প্রতিমা শিল্পী এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তুলছেন প্রতিমা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাজে কিছুটা ব্যঘাত ঘটলেও কারিগররা জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময়ে আগেই তারা প্রতিমা হস্তান্তর করতে পারবেন। করোনার কারণে দূর্গাপুজার এ উৎসব ভালোভাবে উৎযাপন করতে না পারায় এবার জাকজমকপূর্ণ সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে মণ্ডপ মালিকরা।

 

প্রবীণ কারিগর জিতেন্দ্র পাল বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করছি। বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিমা তৈরির কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও ৬ষ্ঠ পূজার আগেই প্রতিমা হস্তান্তর করা হবে।

 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হিন্দু মহাজোটের নেতা প্রবীর চৌধুরী রিপন বলেন  বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় এ বছর জাকজমকভাবে পূজার আয়োজন ও প্রতিমা তৈরির কাজ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। গতকল সোমবার পূজা উদযাপনের সভায় জেলা প্রশাসনের নিরাপত্তা ভিত্তিতে যে নিয়মনীতি বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে সে বিষয়গুলো মেনেই পূজা উদযাপন করা হবে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহীন বলেন, ‘শারদীয় দুর্গা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলায় ১২০০ পুলিশ বাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে, যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।’

 

একুশে সংবাদ/এ.খা/এসএপি/

ধর্মচিন্তা বিভাগের আরো খবর