সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হজরত ওসমান (রা.) হত্যা সম্পর্কে যা বলেছিলেন?

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ১৫ জুন, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজ ঘরে যখন বিদ্রোহীদের দ্বারা আবদ্ধ হন, তখন তিনি নবিজীর একটি হাদিস বর্ণনা করে বিদ্রোহীদের শুনান। আর নিজের প্রতি তার বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দেন যে, ইসলাম কোন কোন পর্যায়ে হত্যা বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অধিকার দেয়। ক্ষেত্রগুলো কী কী?

 ‘তিনটি অপরাধ ছাড়া কোনো মুসলমানকে হত্যা করা বৈধ নয়? (সে অপরাধ ৩টি হলো)-

১. বিয়ে করার পর (বিবাহিত ব্যক্তির) জিনা বা ব্যভিচার করা;

২. ইসলাম গ্রহণের পর (ইসলাম) ধর্ম ত্যাগ করা এবং

৩. কেউ কোনো ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে খুন করা।

এ তিনটির যে কোনো একটি অপরাধ সংঘটিত হলে, এ অপরাধের কারণে (দোষী ব্যক্তিকে) মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায়।

আল্লাহর শপথ (করে বলছি)!

১. আমি জাহেলি যুগেও জিনা করিনি, ইসলাম কবুলের পর তো নয়-ই।

২. আমি আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে যেদিন আনুগত্যের শপথ (বাইআত) নিয়েছি, সেদিন থেকে (মুহূর্তের জন্য) ধর্মত্যাগীও হইনি।

৩. আর এমন কোনো (ব্যক্তির) প্রাণও আমি হত্যা করিনি, যার হত্যা আল্লাহ তাআলা অবৈধ করেছেন। (তাহলে) আমাকে কি কারণে তোমরা হত্যা করবে? (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)

হত্যা সম্পর্কে কোরআনের বিধান

আল্লাহ তাআলা হত্যার মতো মারাত্মক অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে সুস্পষ্ট বিধানও জারি করেন-

১. ‘হে ঈমানদারগণ! মানুষ হত্যার ব্যাপারে তোমাদের জন্য কিসাস (প্রতিশোধ গ্রহণের বিধান) বিধিবদ্ধ করা হলো; ‘স্বাধীন ব্যক্তির বদলে স্বাধীন ব্যক্তি, ক্রীতদাসের বদলে ক্রীতদাস ও নারীর বদলে নারী। কিন্তু তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে কিছুটা ক্ষমা প্রদর্শন করা হলে, প্রচলিত প্রথা অনুসরণ ও সদয়ভাবে তার (বিনিময়) পরিশোধ করা উচিত। আর এতো তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে ভার লাঘব ও অনুগ্রহ।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৭৮)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত অপরাধ থেকে নিজেদের হেফাজতের পাশাপাশি ইসলামি সমাজ বিনির্মাণে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর সঠিক বুঝ গ্রহণের তাওফিক দান করুন। আমিন।

একুশে সংবাদ/জ/রখ

ধর্মচিন্তা বিভাগের আরো খবর