সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শিক্ষক যখন দন্ডহীন শাসক!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:১৬ পিএম, ২১ জুন, ২০২২
লেখকঃ নজরুল ইসলাম

কেহ হয়তো নেগেটিভ ভাবিয়া, বিষয়টাকে লইয়া মাতামাতি করিতে ব্যস্ত হইয়া পরিবেন ! তাহাকে সম্মান জানাইয়া-ই কহিতে  আবশ্যক হইলাম। অ-মানুষ হইতে মানুষ বানাইবার কারিগর  শিক্ষকের নিকট হইতে বেত্র কাড়িয়া লইয়া কতোটা বাঞ্চনীয় সমাজ গঠন করিয়াছি  বা করিবো তাহার বস্ত্র পরিহিত বিবরণ ! প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পূর্বের কারিকুলামে চলিয়া যাইয়া (শুধু এস এস সি পরীক্ষা থাকিবে) Old Is Gold-এর মান কিছুটা রক্ষা পাইয়াছে।

 

এই  নিয়মে আমরাও পড়িয়াছি। ক্লাশের পড়া না শিখিলে বেত্রাঘাতের ভয় করিয়াছি এবং শিখিয়াছি নতুবা চেষ্টা করিয়াছি। সেই ভয়কে জয় করিয়া যখন বেত্রের প্রচলন থামানো হইলো শুরু হইলো অভদ্র এবং বেয়াদবির  প্রতিযোগীতা। বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে অপ-ব্যবহারের সর্ব সুযোগ করিয়া দেওয়াও হইলো তাহাতে। বিপজ্জনকভাবে আত্মহত্যা করিতেও খুব-উ বেশী সময়ের অপেক্ষা না করিয়া বিকৃত আবেগ (Emotion)-কে কাজে লাগাইলো তাহারা।

 

যাহারা বাঁচিয়া থাকিলো উহারা বে-আদব আর অপ-শৃঙ্খলের মতো গুণাবলী এমন ভাবে আঁকড়াইয়া ধরিলো যে, বাকী সবই মূর্খের দল ভাবিতে দ্বিধা রাখিলো না। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়াদের মাঝে ইহার ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়।

 

সাধনায় ভালো কিছু করিতে একজন ভালো মানুষ হওয়া পূর্ব শর্ত থাকিলেও, এই কথা উহাদের বোধগম্য করানো যায়নি। একজন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষককেই বেশী ভয় ও সম্মান করিবার কথা,অথচ বন্ধুসুলভ বেত্রহীন শিক্ষককে উহারা উহাদের থেকে কম দামী বস্তুু মনে করিয়াছে কি-না তাহা ভাবা প্রয়োজন কয়েকবার। মুরুব্বিদের প্রতি উহাদের মনোঃভাব কোন পর্যায়ে তাহাও এদিক-ওদিক তাকাইলেই দৃশ্যমান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে বেত্র তুলিয়া লইবার কারনে  আরও কতো অপ-গুণ উহাদের ধ্যানে-জ্ঞানে বিচরণরত তাহা বলিয়া অন্তঃ করা বেশ দুঃসাধ্য!

 

মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নীতি-নির্ধারক মহোদয়ের "শাসককে শৃগালের মতো ধূর্ত ও সিংহের মতো তেজস্বী" হইবার কথাটা ভুলিয়া গেলে চলে না। সময়টা এমন-ই।

 

এইভাবে চলিতে থাকিলে ভালো ও সভ্য গুণগুলো নিঃশেষ হইবার সমাজ সন্নিকটে। হয়তো একজন মাষ্টার্স পাশ বা বিসিএস ক্যাডার তৈরি হইবে।তাহাতে  উহাদের মাঝে কতোখানি সৎগুণ বজায় থাকিবে সেই বিচার আপনাদের বিবেকে-ই রহিলো ! ইহাতে  ফলাফল কি হইবে, তাহাও সকলের উপলব্ধ।

আর দেরি নয়,  শিক্ষকের হাতে শাসকের দন্ড তুলিয়া দেওয়া হোক,সত্যি-ই সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবন ফল পাইবে সু-ফল।

 

লেখকঃ নজরুল ইসলাম

 

বি এস এস (অনার্স), এম এস এস (জাবি)

মতামত বিভাগের আরো খবর