সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

স্যালুট শাহ জামাল

প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ১ নভেম্বর, ২০২০

শাহ জামাল'রা আছেন বলে পুলিশকে মানুষ শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস করেন। পুলিশের জন্য চোখে জল আসে। পুলিশের নামে চাউর হওয়া অনেক অপবাদও মানুষ বিশ্বাস করেন না। যদিও হয়ে হয়ে থাকে মানুষ তা ভুলে যান।   

আমরা পুলিশকে অপবাদ দিই। কিন্তু এই অপবাদের ভাগি কিন্তু সবাই নয়। গুটিকয়েক সদস্যের ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার পুরোবাহিনী নিতে পারে না।
বর্তমান সময়ে সবাই যখন পদপদবী ও নিজের চাকরিকে হাতিয়ার করে টাকা কামানোর ধান্ধা মত্য সেখানে ভবতে অবাক লাগে ১৭ বছর চাকরি করেও পুলিশ সদস্য শাহ জামাল বাড়িঘর জায়গাজমি কিছুই করতে পারেননি। নিজের থাকাঘরটিও মেরামত করতে পারেন নি। মা বাবা থাকতেন গোয়ালঘরের এক পাশে। জামালও স্ত্রীসহ বাড়ি গেলে ওই ভাঙা ঘরে থাকতেন। তাঁর ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম কামলাদেন অন্যর জমিতে। এটি অবিশ্বাস্য কথা হলেও সত্য।

বলছি পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) মোঃ শাহ জামালের কথা। একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও দেশপ্রেমিক পুলিশের কথা। যাকে নিয়ে গর্ব করা যায়। যাকে কোন মোহ, লোভ, লালসা ছুতে পারেনি। অন্ধকারে নিয়ে যেতে পারেনি তার আদর্শকে। পুলিশে ডুকা অবস্থায় দেশের প্রতি করা তার শপথ। তিনিই তো বীর। যেমন ছিলেন সৎ তেমনি রাষ্ট্রীয় পোশাকে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন মৃত্যু কয়জনের কপালে জুটে।

দুঃখের বিষয় মোঃ শাহ জামাল গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ইং সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বাজার এলাকা থেকে ডিউটি শেষে থানায় ফেরার সময় চাপড়া ব্রিজের উত্তরপাশে রাস্তায় ট্রাকে রাখা বাঁশ বুকে ঢুকে নিহত হন।

শাহ জামালের গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে। তার ৮ বছর বয়সী রাফি নামের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী বর্তমানে সন্তান সম্ভবা।

নিহত শাহ জামালের মায়ের দুরাবস্থা দেখে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নিজ উদ্যোগে দু’কক্ষ বিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে শাহাজামালের মা-বাবার হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ সুপার মরহুম শাহ জামালের কবর জিয়ারত করেন।

মুহাম্মদ মহরম হোসাইন
সাংবাদিক ও কলামিস্ট 
নির্বাহী সদস্য,
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)

মতামত বিভাগের আরো খবর