সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঠান্ডা ও কুয়াশায় বিপাকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:১৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাংলাদেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে নিয়ম মাফিক জাঁকিয়ে শীত পড়া স্বাভাবিক ঘটনা। উত্তরজনপদে হিমেল হাওয়া প্রবেশের পকেট রয়েছে। যে কারণে এসব অঞ্চলে প্রতিবছরই শীত পড়ে থাকে। এসব অঞ্চলে শীতজনিত রোগের প্রার্দুভাব দেখা দিয়ে থাকে।

 

এবারে শীতের শুরুতেই উতরজনপদের পঞ্চগড়ে জাঁকিয়ে শীত পড়েছে। টানা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে এখানে। এই অঞ্চলে শীতজনিত রোগে ভুগছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। সেই সঙ্গে  তীব্র শীতে কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।

শীত বস্ত্রের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। পঞ্চগড়ে শীত বস্ত্র বিতরণের খবর পাওয়ানি।

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বিবেচনায় মেহেরপুরে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও কনকনে ঠান্ডায় যুবুথুবু অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে শ্রমজীবী মানুষের। মৃদু বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে কয়েকগুণ।

চুয়াডাঙ্গায় রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় সবসময়ই শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে দিশেহারা মানুষ। বিশেষ করে পেশাগত কারণে রাতে যাদের কাজ করতে হয় তাদের দুর্ভোগ আরও বেশি। এ বছর এখনো পর্যন্ত শীতবস্ত্র বিতরণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।  

তীব্র শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। দিনমজুরদের শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে শহরে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রিকশা ও ভ্যান চালকদের যাত্রী পাওয়ার আশায় ভোর থেকে শহরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

মেহেরপুরে কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হতে শুরু করেছে। সবুজ ধানের চারা লালচে আকার ধারণ করেছে। চারা রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের বালাইনাশক প্রয়োগ করছে কৃষকরা। অতিরিক্ত কুয়াশায় বোরো ধানের চারায় পচন ধরতে শুরু করেছে। লাল হয়ে বসে যাচ্ছে চারা। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর)  সকাল ৬টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টা নাগাদ তাপমাত্রা  কিছুটা কমার অভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।  

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কুয়াশা অন্যদিনের চেয়ে কম থাকায় শীত বেশি অনুভূত হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রির সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে।


শীতের জেলা পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আবারও কমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ১। ঘনকুয়াশা নেই। তবে মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকে হিমশীতল বাতাসে কারণে রাতভর কনকনে শীত অনুভূত হয়েছে। ভোরের দিকেই সূর্যের দেখা মেলায় জনমনে স্বস্তি দেখা গেছে।

 

একুশে সংবাদ/এএইচবি/এনএস 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর