সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নারীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠ উপহার নারীবান্ধব মেট্রোরেল: ইন্দিরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২৩

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শ্রেষ্ঠ উপহার নারীবান্ধব মেট্রোরেল। যা নারীর ক্ষমতায়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মেট্রোরেলের নারীচালক, নারী যাত্রীদের জন্য পৃথক কম্পাার্টমেন্ট, পৃথক ওয়াশরুম ও শিশুদের পরিচর্যায়র ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা নারীদের জন্য এক বিশেষ ব্যবস্থা।

 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

 

 ঢাকা বিভাগের নির্বাচিত পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দিতে এঅনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

ঢাকা বিভাগের পাঁচজন শ্রেষ্ঠ জয়িতা হলেন-

 

অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে ফরিদপুর জেলার শাহীদা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শরীয়তপুর জেলার মমতাজ বেগম, সফল জননী ক্যাটাগরীতে শরীয়তপুর জেলার লুতফন নেছা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা মাদারীপুর  জেলার রাজিয়া সুলতানা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় নারায়ণগঞ্জ  জেলার সনু রানী দাস।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সুচনা করেন। জয়িতার কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং নারীবান্ধব একটি বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। জয়িতাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

 

তিনি বলেন, একসময়ের ক্ষুধার্ত, বুভুক্ষু ও অনুন্নত বাংলাদেশ আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ। উন্নয়নের সকল সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই জয়িতারা ২০৪১ সালের স্মার্ট, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

 

তিনি বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৩৫ টি বিভিন্ন ট্রেড্রে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ৬৪ টি জেলায় ৪৮ হাজার নারীদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এর মাধমে তৃণমূল নারীদেরকে প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করছে সরকার।

 

তিনি বলেন, জাতির পিতা সংবিধানে নারী অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহীকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়নে প্রকল্প, কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। যার ফলে জেন্ডার সমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। সরকারের নারীবান্ধব উন্নয়ন ও নীতি কৌশল বাস্তবায়নের ফলে গত একযুগে সরকারি, বেসরকারি, আত্মকর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে একসাথে কাজ করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে দুটি নতুন কমটি গঠন ও সকল কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো: খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন। আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। পুরস্কার পর্ব শেষে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

একুশে সংবাদ.কম/আ.জা.প্র/জাহাঙ্গীর

 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর