সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গ্রেফতার আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করত রাফি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২২

রাজধানীর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) সম্পর্কে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, আদালত প্রাঙ্গন থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪)। তিনি আনসার আল ইসলামের আসকারি শাখার সদস্যদের রিক্রুটের দায়িত্ব পালন করতেন। বরখাস্ত মেজর জিয়ার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান এ কথা বলেন।

 

সিটিটিসি প্রধান বলেন, সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতা ও গ্রেফতার আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব পালন করত রাফি। আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। রাফি আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় অন্যান্য আসামির সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পরিকল্পনার বিষয়ে অন্যদের জানায়। এরপরই কাজে নামে তারা।

 

তিনি বলেন, মেহেদী হাসান ঘটনার দিন আদালতে আসেন মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে। তিনি আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন ছিনিয়ে নেওয়ার পর জঙ্গিদের হাতে টাকা দেবেন।

 

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার রাফি ২০০৯ সাল থেকে ছিল হিজবুত তাহরীরের সদস্য ছিল। তবে ২০১৩ সালে সে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত হয়। একসময় সিলেট বিভাগের দাওয়াহ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পায় রাফি।

 

এর আগে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। বুধবার (২৩ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

গত ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে পুরান ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যান জঙ্গিরা। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি হলেন, মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।

 

একুশে সংবাদ.কম/সজ/জাহাঙ্গীর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর