ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর–দক্ষিণ) এলাকায় চাহিদার তুলনায় ঢাকা ওয়াসার পানি উৎপাদন সক্ষমতা বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন দুই সিটি করপোরেশন (উত্তর–দক্ষিণ) এলাকায় দৈনিক পানির চাহিদা ২৬০ থেকে ২৬৫ কোটি লিটার আর ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদন সক্ষমতা ২৭০ থেকে ২৭৫ কোটি লিটার।
মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, পানি বিশুদ্ধকরণের কাজটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড, অ্যালাম সালফেট ও ক্লোরিনেশনের মাধ্যমে পরিশোধন করা হয়। ডব্লিউএইচও অ্যান্ড ইসিআর ৯৭ অনুসরণ করে পানির গুণগত মান নিশ্চিত হওয়ার পর নেটওয়ার্কে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া ঢাকা ওয়াসার আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিজস্ব ল্যাবরেটরি ও আইসিডিডিআরবি ল্যাবে নিয়মিত পানির নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ওয়াসা স্টর্ম সুয়ারেজ ও খাল সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ ও সম্পত্তি বিভাগের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ক্রাশ প্রোগ্রাম গ্রহণ করে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬টি খাল থেকে প্রায় ৭১ হাজার ৫৮৪ টন ভাসমান বর্জ্য, প্রায় ১০ হাজার টন মাটি/স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ডিএনসিসির সব খালই দখল বা অপদখলের মধ্যে আছে। সম্পত্তি বিভাগ সীমিত জনবল দিয়ে এসব দখলমুক্ত করার বিষয়ে সচেষ্ট রয়েছে। খালের বর্জ্য অবজারভেশন করার জন্য বিভিন্ন খালে সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে মহাখালী বাস টার্মিনাল ভেঙে নতুনভাবে পুনর্নির্মাণসহ বিআরটি লাইন-৩ এর করিডোর রাস্তা উন্নয়ন কার্যক্রম করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৩০ বছর মেয়াদি ইন্টিগ্রেটেড সিটি মাস্টার প্ল্যান ফর ঢাকা (২০২০-২০৫০) প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পরিচ্ছন্ন ও স্মার্ট সিটি তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
একুশে সংবাদকম/জ.ন.জা.হা