সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানী ও সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধের দাবি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ভারত থেকে হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানী বন্ধ, খামারিদের বিদ্যুৎ বিল কমানো, খামারিদের রক্ষায় দ্রুত সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। এগুলো বন্ধ না হলে দেশের পোল্ট্রি ও মৎস্যসহ প্রাণিসম্পদ খাত ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। বড় ধরনের লোকসানে পড়বেন খামারিরা। আর সয়াবিন মিল রফতানি দেশের জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধ করুন, ডেইরি পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প রক্ষা করুন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন এই সব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ সভাপতি আলী আজম রহমান শিবলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিব উল্লাহসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।।

এই সময় বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ঘোষনা দিয়েছে আমাদের দেশ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ন। তারপরেও দেশে, ভারত থেকে হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানী হচ্ছে। আর এর কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারিরা। এর ফলে মাংস চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে খামারিরা। শেষ তিন মাসে প্রায় ছয় হাজার টন হিমায়িত মহিষের মাংস ভারত থেকে আমদানী হয়েছে। 

প্রশ্ন করে তিনি বলেন, হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানী নিষেধ থাকা সত্বেও কে বা কারা কিভাবে এই মাংস আমদানী করছে ? যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারিরা। গত ঈদে ২৯ লাখ গবাদিপশু বিক্রি হয়নি। খামারিদের লোকসান কমাতে আমরা ভারত থেকে হিমায়িত মহিষের মাংস আমদানি বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। সংশ্লিষ্ট সচিব সাহেব বলার পরও চট্টগ্রাম পোর্ট দিয়ে মাংস ঢুকছে। আমরা এই হিমায়িত মাংস আমদানি বন্ধের দাবি জানাই।

মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, সয়াবিন রফতানি দেশের জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তে দেশের পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ খাত ব্যাপক লোকসানে পড়বে। ইতোমধ্যে ‘সয়াবিন মিল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার’ এমন খবরে স্থানীয় সয়াবিন মিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সয়াবিন মিলের দাম কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বৃদ্ধি করেছে। সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, বর্তমানে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন মিল আমদানি করতে হলে এলসি করা থেকে শুরু করে বন্দরে মাল এসে পৌঁছানো পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় ৫০ দিন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সময় লাগে ৭০ দিন। ভারত থেকে সড়কে ৭ থেকে ১০ দিন, কনটেইনারে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে।

তিনি আরও বলেন, এখনই গোখাদ্যের দাম বাড়ার লাগাম টেনে ধরতে হবে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে খামার বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। তাই অনতিবিলম্বে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।

২য় পর্ব আসছে.......

একুশে সংবাদ/বাবু

জাতীয় বিভাগের আরো খবর