সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মালয়েশিয়ায় ফেরার দাবিতে মালয়েশিয়া দূতাবাসের সামনে প্রবাসীরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ১৭ আগস্ট, ২০২১

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর বারিধারার ৬ নম্বর রোডে মালয়েশিয়া দূতাবাসের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে প্রবাসীরা দাবী করে বলেন, ছুটিতে বাংলাদেশে এসে করোনার কারণে আটকে পড়াদের মালয়েশিয়ায় ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। সরকারের সব শর্ত মেনে যেকোনো মূল্যে কর্মস্থলে যেতে চান ভুক্তভোগী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।

সকাল ১০টা থেকে শতশত প্রবাসী মালয়েশিয়া দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে কর্মস্থলে ফেরার আকুতি জানান।

ভুক্তভোগী প্রবাসীদের আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন একুশে সংবাদকে বলেন, আমরা ছুটিতে কেউ এক সপ্তাহ, কেউ এক মাস, কেউ আবার তিন মাসের জন্য ২০২০ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসি। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মালয়েশিয়াতে আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তাই আর কাজে ফিরতে পারছি না আমরা ভুক্তভোগী প্রবাসীরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা টিকা নিয়েছি। হোম কোয়ারেন্টাইনেও থাকব, এমনকি মালয়েশিয়ার ও বাংলাদেশ সরকারের সব শর্ত মেনে কাজ করব। তারপরও আমরা কাজে ফিরে যেতে চাই।

মালয়েশিয়ার তেলেংগায় কর্মরত আব্দুর রহিম নামের এক প্রবাসী বলেন, মালয়েশিয়ায় লাখ টাকা বেতনের চাকরি করেও এখন আমরা বেকার রয়েছি। পরিবার নিয়ে চলতে পারছি না, খুব কষ্ট হচ্ছে আমাদের। করোনা পরবর্তী সময়ে সৌদি আরব ও কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরাও অন্যান্য প্রবাসীদের মতো মালয়েশিয়ায় কাজে যোগ দিতে চাই। 

                      No description available.

তিনি আরও বলেন, যে কোন মূল্যে আমরা আমাদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাই। দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে ভূমিকা রাখতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাই, আপনি যেকোন মূল্যে আমাদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।

মালয়েশিয়ার মালায় অ্যাপামোসা রিসোর্টের কর্মী কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর এলাকার বাসিন্দা আশরাফ উদ্দিন জানান, ২০২০ সালের রিএন্ট্রি ভিসায় জানুয়ারির ৬ তারিখ ঢাকায় এসেছি আমি। ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল রাত ২টার ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু করোনার কারণে আটকা পড়ে আছি। আমি এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ‘মাই ট্রাভেল পাস’ সংগ্রহ করেছি। কিন্তু এখনও যেতে পারছি না। 

মাত্র ১৫ দিনের ছুটিতে এসে আটকা পড়া রাশেদুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ের দেড় বছর পরও মালয়েশিয়ায় ফিরতে পারছি না। তিনি প্রায় ১৩ বছর ধরে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, আমি রিএন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে যেকোনো শর্তে মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে চাই।

গত বছরের ২০২০ সালের ৮ই মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল এবং এরপর ১৮ মার্চ থেকে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সব দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধ করে বাংলাদেশ। এরপর ধীরে ধীরে অনেক দেশ ফ্লাইট চালু করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি মালয়েশিয়া।

য়ার কারনে আটকে পড়া মালয়েশিয়া প্রবাসীরা ফিরে যেতে পারছে না তাদের কর্মস্থলে। দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তারা।

একুশে সংবাদ/রাফি

জাতীয় বিভাগের আরো খবর