সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় সভায় বসেছে সরকার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসের তান্ডাব অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এখন সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও কমছে না সংক্রমণ ও মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে করণীয় পদক্ষেপ ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ এক সভায় বসেছে সরকার।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

এর আগে গতকাল এই বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে বড় মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।’

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের সিট বাড়িয়ে, ডাক্তার বাড়িয়ে এগুলো (করোনাভাইরাস) নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ইউরোপের দেশগুলো দেখেন, স্পেন, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানি। জার্মানিতে তো অসহায় হয়ে পড়েছিল। ইন্ডিয়ার অবস্থা দেখেন, কী হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একমাত্র মানুষ যদি মাস্ক না পরে, (সামাজিক) দূরত্ব না মানে, ইট উইল বি অলমোস্ট ইমপসিবল। মক্কা-মদিনা দেখেন, মদিনার ভেতরে তিন ফিটের মধ্যে কাউকে আসতে দেবে না। মক্কাতে আপনি খেয়াল করে দেখেছেন কি-না, নামাজ বা তাওয়াফ করে, কী রকম ডিসিপ্লিন মেনে চলছে মানুষ। সেজন্যই সৌদি আরব (করোনা) নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।’

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতর সোমবার জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ১৫ হাজার ১৯২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত এবং ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনাভাইরাসের ডেল্টা সংক্রমণে গত কয়েক মাস ধরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও এক দিনে এত আক্রান্ত ও মৃত্যু বাংলাদেশ আগে দেখেনি।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউন জারি করা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে কোরবানির ঈদের সময় তা শিথিল করা হয়েছিল।

ঈদের ছুটির পরেই সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড হলো। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, অগাস্ট মাসে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ঘোষণা করা রয়েছে। সংক্রমণ কমাতে বিশেষজ্ঞরা লকডাউনের পক্ষে বললেও তা আবার মানুষকে জীবিকাকে সঙ্কটে ফেলছে, সেটাও সরকারকে ভাবতে হচ্ছে।

এই দোটানার মধ্যে লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কি-না সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব গতকাল বলেন, ‘তা মঙ্গলবারের সভায়ই ঠিক হবে।’

অপরদিকে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংক্রমণ যে গতিতে ছড়াচ্ছে, তাতে এখন কঠোর বিধিনিষেধের কোনো বিকল্প নেই।’

কয়েক মাস আগে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের অবস্থা  হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে এখনই হাসপাতালে শয্যা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ায় পরিস্থিতি ভারতের মত করুণ হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

একুশে সংবাদ/জা/তাশা

জাতীয় বিভাগের আরো খবর