সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

এ্যাম্বুলেন্সের একটি সুষ্ঠ নীতিমালার দাবীতে (নিচিচা) এর মানববন্ধন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৪৫ পিএম, ১৯ জুন, ২০২১

এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রমরমা বানিজ্য বন্ধ করতে ও এম্বুলেন্সের জন্য জন-বান্ধব সুষ্ঠ নীতি মালার দাবীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন এর আয়োজন করে নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) নামের একটি সামাজিক সংগঠন। নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) এর চেয়ারম্যান যুবরাজ খান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারন জনগন। 

এই সময় নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) এর চেয়ারম্যান যুবরাজ খান বলেন, চিকিৎসা মানব জীবনের জন্য অন্যতম মৌলিক অধিকার। একজন রোগী রোগ মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে চিকিৎসার স্বরনাপন্ন হয়। একজন মুমুর্ষ রোগীর জীবন বাঁচাতে হাসপাতালে নিতে রোগীর এ্যাম্বুলেন্স এর প্রয়োজন হয়। প্রতিটি হাসপাতালের সামনে থাকে সারি সারি এ্যাম্বুলেন্স। রোগীর পরিবহনের চাহিদা যতটুকু আছে তুলনা মূলক ভাবে এম্বুলেন্স এর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমানই আছে। তারপরও রোগী এ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে হিমশিম খাচ্ছে। 

                        

তিনি বলেন, এই বর্তমান করোনা কালীন সময়েও নির্দিষ্ট হাসপাতালস থেকেই, নির্দিষ্ট এ্যাম্বুলেন্স-ই নিতে হবে। অন্য কোথাও কম টাকা দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করবেন সেই সুযোগ নেই। হাসপাতাল কেন্দ্রীক এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট চলছে সর্বত্র। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে এই জরুরী রোগী পরিবহন সেবাটি বর্তমানে সম্পূর্ন রুপে বানিজ্যিক হয়ে গেছে, নিরুপায় রোগী ও রোগীর স্বজনেরা।

যুবরাজ খান বলেন, সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত। যে এ্যাম্বুলেন্স গুলো সরকারি হাসপাতালে আছে, তার মধ্যে অর্ধেকই অচল। বাকি অর্ধেক কোন না কোন কারন দেখিয়ে বসিয়ে রাখে। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সাধারন জনগনের হাতের নাগালের বাইরে। ফলে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্সের সাথে সম্পর্কিত অসাধু ব্যবসায়ীগন এই সুযোগ নিয়ে, অসহায় মানুষের কাছ থেকে ইচ্ছে মত ভাড়া নিচ্ছে। বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালকেরা রোগীর মূমুর্ষ অবস্থা দেখে তাদের জিম্মি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করে। 

তিনি বলেন, রোগী পরিবহন একটি সেবা মূলক পন্য। গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা বা দূর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে সময় মত হাসপাতালে পৌছে দেয়াই এই এ্যাম্বুলেন্সের কাজ। এটি একটি মহতি কাজ কিন্তু এই মানবিক কাজটি পরিনত হয়েছে অমানবিকে। এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রমরমা বানিজ্য বন্ধ করতে, প্রয়োজন একটি জনবান্ধাব সুষ্ঠ নীতিমালা। দুঃখের বিষয় এখনো এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে কোন নীতিমালা হয়নি। এ্যাম্বুলেন্স একটি জরুরী সেবা খাত তাই স্বাস্থ্য সেবা মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, সমাজ সেবা মন্ত্রনালয়, পরিবহন মন্ত্রনালয় এবং সিভিল সার্জন বিভাগের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠ নীতিমালার দাবি জানান যুবরাজ খান।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য সেবার আইনগত ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত করতে অনেক গুলো আইন ও নীতিমালা আছে। কিন্তু এ্যাম্বুলেন্স খসড়া নীতিমালা হয়ে, এখনো ঝুলে আছে। এ্যাম্বুলেন্সের কোন নীতিমালা না থাকায়, এই এ্যাম্বুলেন্স কে ঘিরে গড়ে উঠেছে দুর্নীতি অনিয়ম সিন্ডিকেট। মানহীন সেবা প্রদান এবং স্বেচ্চাচারিতা চলছে গতিহীন ভাবে। তাই আমি বলতে চাই, নীতিমালা হলে একটি ভাড়া নির্ধারন হবে। সেবের মান অক্ষুন্ন থাকবে। একটি এ্যাম্বুলেন্সে যা যা থাকা দরকার তার নির্দেশনা থাকবে।

বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনেনত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ্যাম্বুলেন্সের একটি সুষ্ঠ নীতিমালার জন্য জোর দাবি জানান সংগঠনটি। নীতিমালা প্রনয়ন কালে, নীতি নির্ধারক গন সবদিক বিবেচনা করে, জনবান্ধব একটি নীতিমালা প্রনয়ন করার জন্য জোর দাবি জানান নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা) এর চেয়ারম্যান যুবরাজ খান।

একুশে সংবাদ/রাফি

জাতীয় বিভাগের আরো খবর