সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হেফাজতে ইসলাম জনবিচ্ছিন্ন ও প্রশ্নবিদ্ধ -ছালাউদ্দিন ছালু

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৫০ পিএম, ১২ এপ্রিল, ২০২১

মামুনুল হকের অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য আল্লামা শফির হেফাজতে ইসলাম জনবিচ্ছিন্ন ও প্রশ্নবিদ্ধ।

অদ্য ১২ এপ্রিল, ২০২১ সোমবার সকাল ১১.০০ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখ থেকে মামুনুল হকের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)’র উদ্দ্যোগে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব প্রদান করেন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) ও এর নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এনডিএফ)’র চেয়ারম্যান জননেতা আলহাজ্ব শেখ ছালাউদ্দিন ছালু। 

উক্ত বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল পূর্ব  বক্তব্যে শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আল্লামা শফী এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। ইসলাম হেফাজত করাই ছিল দলটির মূখ্য উদ্দেশ্য। রাজনীতি করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। হযরত আল্লামা শফীও এমনটা করেননি। 

তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা দেখছি হেফাজত তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্যের কথা ভুলে গিয়ে তান্ডবের রাজনীতি শুরু করেছে। কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হরতাল ডেকে দেশব্যাপী ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা, সরকারী স্থাপনা-অফিস ধ্বংস করে তারা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করেছে। সেই তান্ডবে কিছু মানুষও মারা গেছে। তবে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো যে নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যে হেফাজতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা দেশজুড়ে তান্ডব চালালো সেই নেতা মামুনুল হক কয়েকদিন আগে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে একজন নারী নিয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তিনি ঐ নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, দ্বিতীয় বিয়ে করতে ইসলামে সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি কথিত স্ত্রীকে বিয়ের যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেন নি। তাই তার বিয়ে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। 

তিনি আরো বলেন, মামুনুল হকের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলামের হটকারী আন্দোলনে ১৭ জনের প্রাণহানী, শতাধিক নেতা-কর্মীকে হাসপাতালে রেখে ও তাদের স্বজনদের আহাজারী এবং চোখের পানিকে উপেক্ষা করে  সুন্দরী পরস্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে ফুর্তি করতে যান। একজন মুসলিম একাধিক স্ত্রী রাখতে পারেন, কিন্তু ইসলামের লেবাসধারী কুলাঙ্গার মামুনুল হক অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে ধরা পরে নিজ স্ত্রীকে ফোনে তার পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ইসলাম এটাকে সমর্থন করে না। আমরা এমন  জঘন্ন ঘটনার তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করিছ, সাথে সাথে ধর্মপ্রাণ সকল আলেম ওলামাদের কাছে আহবান জানাচ্ছি, মামুনুল হকের মত কুলাঙ্গারদেরকে আলেম সমাজ থেকে বয়কট করুন।

আল্লামা শফী যে হেফাজত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বর্তমানে বাবুনগরী-মামুনুল গং সে হেফাজতকে পাল্টে দিয়েছে। ইসলামের দোহাই দিয়ে তারা মাদরাসার কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম, অপরাজনীতি, জালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। 

পরিশেষে তিনি বলেন, আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমরা মদীনার ইসলাম বিশ্বাস করি। যারা ইসলামের নামে তান্ডব চালায়। তারা ইসলামের সেবক নয়, ধর্ম ব্যবসায়ী, সুবিধাবাদি গোষ্ঠী। এদের বিরুদ্ধে সরকার ও দেশবাসীকে  সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)’র মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই মন্ডল, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সভাপতি এ কে এম মহিউদ্দিন আহাম্মেদ (বাবলু),  ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই সরকার, এনপিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মিসেস খালেকুজ্জামান খান দুদু, শেখ আবুল কালাম, মোঃ আনিসুর রহমান দেওয়ান,   বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি (বিআইপি)’র চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ (এনসিবি)’র চেয়ারম্যান ছাবের আহাম্মেদ (কাজী ছাব্বীর), এনপিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক আক্কাছ, ডেমোক্রেটিক পার্টি বাংলাদেশ (ডিপিবি)’র চেয়ারম্যান এ্যাড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, এনপিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মোশাররফ হোসেন বকুল, ডাঃ মোঃ আলতাফ হোসেন, দ ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান বাচ্চু, এনপিপি’র ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম মাহমুদ, মোঃ আকতার হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব মোঃ জহিরুল হক, যুগ্ম মহাসচিব জিয়া জামান খান প্রিন্স, যুগ্ম মহাসচিব ও ন্যাশনাল পিপলস্ স্বেচ্ছাসেবক পার্টি’র সভাপতি মোঃ এমাদুল হক রানা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন ও  ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান সুমন প্রমুখ।  

একুশে সংবাদ/রা/আ
 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর