সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রয়াত তিন সাংবাদিককে নিয়ে আনোয়ারা প্রেসক্লাবে স্মরণ ও আলোচনা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২১
ছবি: একুশে সংবাদ

সাংবাদিকতার সোপান নির্মাণে প্রয়াত সাংবাদিকরা ছিলেন পথিকৃৎ। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে তাদের অনেকেই কর্মময় জীবনকে অমরত্ব দিয়েছেন। আমাদেরকে তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করতে হবে।

আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর)  সকাল ১১ টায় আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের আয়োজনে গোল্ডেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত তিন সাংবাদিক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ছৈয়দ আহসানুল হুদা ও সৈয়দ হোসেনের স্মরণে আয়োজিত সভায় আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সদস্যরা ও শুভান্যুধায়ীরা এসব কথা বলেন।

আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের সভাপতি সরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে,  মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন পূর্ব বাংলার সম্পাদক এম আলী হোসেন, এস এম মনির চৌধুরী, এম এ ছবুর, এস এম আর মামুন, মোঃ জসিম, ফৌজুল আজাদ চৌধুরীসহ অনান্যরা।

সভাপতির বক্তব্যে সরোজ আহমেদ বলেন, আনোয়ারা প্রেস ক্লাব ১৯৮১ সালে প্রতিষ্টিত হয়। এটি নতুন নই। এই প্রেস ক্লাবের ইতিহাস আছে। আনোয়ারা প্রেস ক্লাবের নাম ভেঙ্গে সাংবাদিকদের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজেদের আখের গোছানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।  যারা রাঘববোয়াল,  চোরাচালানি, ইয়াবা কর্মকান্ড চক্রের  সুবিধা নেওয়ার জন্য তারা প্রেস ক্লাবে ভাঙন সৃষ্টি করে গোপন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত হচ্ছে। সাংবাদিকরা মানুষের সমস্যা, উন্নয়ন ও সম্ভাবনার কথা বলে। সাংবাদিকরা মানুষের বিপদের সময় পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু তা না হয়ে যদি মানুষের বিপদের সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজি, চোরাকারবারিদের সাথে হাত মিলিয়ে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দেয়, সে যত বড় পত্রিকায় কাজ করুক না কেন, তারা সাংবাদিক নই; তারা হলুদ সাংবাদিক। আনোয়ারা মাদক, চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য। অথচ এত বড় বড় সাংবাদিক আছে দাবি করে, একটি নিউজ করে না। চোরাচালানি নিয়ে লিখতে দেখি নাই। আনোয়ারার উন্নয়ন নিয়ে লিখতে দেখি নাই। কারন মাদক - চোরাচালানিদের সাথে তাদের হাত রয়েছে। তাদের মাসোহারা তারা পায়। আনোয়ারার সংবাদ লিখতে হয় নগর প্রতিবেদকদের এসে। আমরা চাই যোগ্য সাংবাদিকরা প্রেস ক্লাবে এসে কথা বলুক।

এম এ ছবুর বলেন, আনোয়ারার এত সাংবাদিক কখনো গুণীজনদের স্মরণসভা করতে দেখি নাই। উন্নয়নে দেখি না। শুধু নিজেদের মধ্যে শাখাপ্রশাখা বিস্তার করে সংগঠন করতে যানে। গ্রুপিং করতে জানে। মানুষ প্রশ্ন করে, আনোয়ারা প্রেস ক্লাব কয়টা! সাংবাদিকদের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতিকারীর কারনে আজ আমরা প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা সমাধান চাই।

প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে আলী হোসেন বলেন, আনোয়ারা প্রেস ক্লাব একটি। সেটি হলো ১৯৮১ সালের। আজ কেউ ৬/৭ জন মিলে নতুন একটি সংগঠন দাঁড় করালে তা গ্রহণযোগ্য নই। এসব কুচক্রের কারনে মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে। আশাকরি আনোয়ারার সাংবাদিকরা সকল সমস্যার সমাধান করে সবাই ঐক্য আসবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাই উন্নয়নে কাজ করবে।

আলোচনা সভায় সদস্যসহ অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আবদুল মান্নান, মো. আলী আজগর, এস এম মনির চৌধুরী, এম ডি এইচ রাজু, এম ইমরান বিন ইসলাম, রাজিব শর্মা, সাদ্দাম হোসেন, আলবিন মোঃ মঈনুদ্দীন চৌধুরী, এস এম মহিউদ্দিন, মোঃ মারুফ হোছাইন, ফোরকান উদ্দিন, মোঃ জামাল উদ্দিন, সুশান্ত শীল, শেখ আব্দুল্লাহ, রুপন দত্ত, আরমান হোসেন, প্রান্ত দে, রয়েল শীল, তুষার সরকার, সজিব দাশ, শ্রী কুমার দত্ত, আব্দুল আজিজ,  কে এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, ছৈয়দুল হকসহ প্রমুখ।

একুশে সংবাদ/আরএস/এএমটি

গণমাধ্যম বিভাগের আরো খবর