সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হতাশা কমায় যেসব খাবার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ২৯ মে, ২০২৩

হতাশা বা ডিপ্রেশন বর্তমানে মারাত্মক একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। হতাশা আক্রান্ত ব্যক্তির সবসময় দুঃখ, ক্রোধ ও হতাশার অনুভূতি হতেই থাকে। যা তাদের প্রতিদিনের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটায়। ফলে ধীরে ধীরে রোগী শারীরিক অসুস্থতার দিকে ধাবিত হয়। 

 

বর্তমানে হতাশাজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যাই বেশি। ১৫-২৯ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিছু খাবার রয়েছে যা হতাশা কমাতে উপকারি ভূমিকা রাখে। এমন কিছু খাবার সম্পর্কে চলুন জেনে নিই- 

 

দুধ 

দুধ একটি সুষম খাবার যা ভিটামিন ডি এর খুব ভালো উৎস। কারো শরীরে এই পুষ্টির মাত্রা কম থাকলে, তা ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন তারা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করা মানুষদের চেয়ে কম হতাশাগ্রস্ত হন। তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় দুধ রাখুন। এটি হতাশা কমাতে সাহায্য করবে।

 

টার্কি মুরগি

টার্কি মুরগিতে আছে প্রোটিন বিল্ডিং ব্লক ট্রিপ্টোফ্যান যা শরীরে সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।  সেরোটোনিন মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি হতাশা দূর করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই সেরোটনিন এর জন্য অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ দেওয়া হয়। যা সহজেই টার্কি মুরগিতে পাওয়া যায়।

 

ব্রাজিল নাটস 

বিশেষ এই বাদামে রয়েছে সেলেনিয়াম নামক উপাদান যা ফ্রি রেডিক্যালস থেকে মুক্তি দেয়। গবেষণা অনুযায়ী, সেলেনিয়ামের মাত্রা কমে গেলে ডিপ্রেশন বাড়ে। তাই হতাশা থেকে দূরে থাকতে এই বাদামটি খেতে পারেন। আমাদের দেশে ব্রাজিল নাটস খুব একটা পরিচিত নয়। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কাজু বাদাম। এতে আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। 

 

অন্যদিকে, কাঠ বাদামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যামিনো এসিড যা মস্তিষ্কে ডোপামিন উৎপাদন করে। ডোপামিন মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও লাল চাল, সূর্যমুখী বীজ এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার সেলেনিয়ামের ভালো উৎস।

 

গাজর

গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন। এই উপাদানটি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, পালংশাকও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ। এই খাবারগুলো আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

 

সবুজ শাক-সবজি

সবুজ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এগুলো গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়। যা ডিপ্রেশন দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

 

স্যামন মাছ

স্যামন মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট। এটি ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড একটি যা মানুষের মেজাজে প্রভাব ফেলে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। স্যামন মাছ ওমেগা-৩ এর ভালো উৎস। 

 

কফি

কফি তে থাকা ক্যাফিন গ্রহণে অনেক সময় হতাশার অনুভূতি কমে। কিন্তু প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা এবং মানসিক রোগীরা এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। কেননা এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। 
 যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় 

 

অনেকে হতাশায় ভুগলে মদ্যপান করেন। তবে মনে রাখবেন, প্রচুর অ্যালকোহল সমৃদ্ধ জিনিস যেমন মদ, ওয়াইন, বিয়ার এগুলো ডিপ্রেশন তৈরি করে। অ্যালকোহল গ্রহণের মাত্রা বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে লোপ পায়। এটি মানুষকে ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দেয়। এছাড়া ডিপ্রেশন কমাতে জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 

 

একুশে সংবাদ.কম/ম/বিএস

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর