সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কোরবানি শেষে করনিয়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ২০ জুলাই, ২০২১

ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানেই খুশি। আমাদের জীবনে কোরবানির ঈদ ত্যাগের মহিমা নিয়ে আসে। এই ঈদ নিয়ে আমাদের আগ্রহ এবং প্রস্তুতির যেন শেষ নেই। কি করে কোরবানি দেব ,কি করে সব কাজ সম্পুর্ন করবো এই সব নিয়ে ব্যস্ত ।

এই ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ আমরা জানি পশু কোরবানি। আমরা সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করি। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আমরা সচেতন হবো যেন আমাদের কোরবানি করা পশুর উচ্ছিষ্ট রক্ত বা আনুসাঙ্গিক বস্তুতে আমাদের চার পাশের পরিবেশ দূষিত না হয়।

আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখার দায়িত্বও আমাদের। পশু কোরবানি যেমন সামর্থবানদের জন্য বাধ্যতামূলক, কোরবানির পর সেই নোংরা পরিস্কার করাও আমাদের জন্য বাধ্যতামূলকই ভাবতে হবে।

এই পরিবেশে দূষিত হলে তার খারাপ প্রভাব আমাদের ওপরই ফিরে আসবে। আমরাতো জানি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।

পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে আমাদের যা করতে হবে:

কোরবানির স্থান পরিস্কার করা ।

কোরবানি দেওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশুর চামড়া বিক্রি কিংবা দান করতে হবে ।
কোরবানির আগেই বাড়ির পাশে কোন মাঠে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটা গর্ত তৈরি করে রাখতে হবে ।

মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্ট গুলো যেখানে সেখানে না ফেলে এক জায়গায় রাখুন কাজ শেষে সেগুলো গর্তে পুতে ফেলতে হবে।

পশুর ভুড়ি পরিস্কারের পর সেই আবর্জনা খোলা অবস্থায় না রেখে সেই গর্তে পুতে ফেলতে হবে।

কোরবানির সব কার্যক্রমের শেষে রক্তে মাখা রাস্তাঘাট ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলতে হবে।
জীবানু যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য নোংরা জায়গা পরিস্কারের সময় স্যাভলন মেলানো পানি ব্যবহার করতে হবে।

সারাদিন পর যখন বিকালে কিংবা সন্ধ্যের পর বেড়াতে বের হবেন দেখবেন দুর্গন্ধহীন কত ফুরফুরে আমেজ চারদিকে। আমাদের সচেতনতাই পারে কোরবানির পরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে।

আমরা যেন শুধু পশু কোরবানির মাধ্যমেই ত্যাগ শব্দটি সীমাবদ্ধ না রাখি। এই দিনের শিক্ষা যেন আমরা সারাজীবন ধরে রাখতে পারি।

 

একুশে সংবাদ/বর্না
 

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর