সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জাপানে থাকা তৃতীয় মেয়েকে দেশে ফেরত চেয়ে বাবার রিট

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ২১ অক্টোবর, ২০২১

দুই শিশুকন্যাকে নিজের কাছে রাখতে লড়াই করা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ (বাবা) জাপানে থাকা তার তৃতীয় ছোট মেয়েকেও হাজির করানোর ও দেখা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ইমরান শরীফের অন্যতম আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম।

এর আগে দুই মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করাতে রিট করেছিলেন জাপান থেকে আসা মা ডা. এরিকো নাকানো। ওই রিটের প্রেক্ষিতে দুই মেয়েকে হাজিরের পর এখন গুলশানের একটি ভাড়া বাসায় দিনরাত হিসাব করে এরিকো ও ইমরান শরীফ মেয়েদের দেখাশোনা করছেন।

গত ১৯ আগস্ট শরীফ ইমরানের জিম্মায় থাকা দুই শিশু সন্তানকে ৩১ আগস্ট হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত। শিশুদের মা জাপানি নাগরিক নাকানো এরিকোর করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

পরে দুই শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগে তাদের মা পৃথক মামলা দায়ের করলে গত ২২ আগস্ট শিশুদের উদ্ধার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। এরপর তাদেরকে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছিল।

গত ২৩ আগস্ট আমরান শরীফের জিম্মা থেকে দুই শিশু সন্তানকে সিআইডি কর্তৃক উদ্ধারের পর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাদের মা ও বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলেও আদালত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও ৩১ আগস্ট শিশুদেরকে হাইকোর্ট হাজির করতে এবং এ সময়ের মধ্যে আদালত উভয়পক্ষের আইনজীবীর বিষয়টি সমাধান করতে ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টা চালাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।

গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশি বাবা ও জাপানি মায়ের দুই শিশুকে তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিবর্তে গুলশানের বাসায় একসঙ্গে ১৫ দিন বসবাস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঢাকার সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক পদের একজনকে বিষয়টি তদারকির নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ডিএমপি কমিশনারকে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়।

আদালত উক্ত সময়ের মধ্যে তাদেরকে বিষয়টির সুরাহা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এছাড়া হাইকোর্ট পরবর্তীকালে দ্বিতীয় দফায় দুই পক্ষের আইনজীবীর আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এ বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় পুনরায় শুনানিতে ওঠে মামলাটি।


একুশে সংবাদ/জা/তাশা

আইন আদালত বিভাগের আরো খবর