'প্রেস' লেখা গাড়ির প্রতি আইনি যথেষ্ট শীতিলতা থাকে, কিন্তু এই সুযোগে 'প্রেস’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে সিলেটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রচুর মোটরসাইকেল, তাদের বেশীরভাগেরই সঠিক কাগজপত্র নেই। পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই এমন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধের সাথেও উঠে আসে এ ধরণের স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেল। তাই এসব চালকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানে নামছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। আগামী ১০ আগস্ট থেকে ‘প্রেস’ লেখা মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে বিশেষ এই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া উইং অতিরিক্ত উপ কমিশনার বি.এম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
এতে পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যাতে ভোয়া প্রেস পরিচয়ে যারা ফায়দা লুটতে চাচ্ছে, তাদের এ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে গত ২৫জুলাই (রোববার) সিলেটে ভোয়া সাংবাদিক সহ ৭জন কে গ্রেফতার করেছে রেব, ফেইসবোকে আগুনের গুজব ছাড়ানোর অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার সিলেটের বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে রেব।
যাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক সেজে আইডি কার্ড বানিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন নামে পেইজ খুলে গুজব রটাতেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন তুরুগাঁও এলাকার (বর্তমানে সিলেট নগরীর মেন্দিবাগ নোয়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা) মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মো. আশফাকুর রহমান (৩২), সিলেট মহানগরীর শাহপরান (রহ.) থানার পীরের চক গ্রামের মৃত উস্তার আলীর ছেলে আলা উদ্দিন আলাল (৭৪), গোলাপগঞ্জ থানার মজিদপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে রেজা হোসাইন (২০), গোলাপগঞ্জ থানার আওই বানীগ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে সোহেল আহমদ (২৬), গোলাপগঞ্জ থানার বাঘীরঘাট এলাকার মৃত আশাব আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৩৫), এসএমপির মোগলাবাজার থানার কুচাই গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রাজন আহমদ (২৮) ও এয়ারপোর্ট থানার আটপিয়ারি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মোক্তার হোসেন মান্না (২৮)।
এদেরকে আটকের পর থেকে ভোয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। আগামী ১০আগষ্ঠ থেকে তারা মাঠে অভিযানে নামবেন।
একুশে সংবাদ/যাকওয়ানুল/ব