সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আফগানদের অর্থ সহায়তা দেবে ভারত

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

তালেবানের এই শাসন কালে আফগানিস্তানের মানবিক বিপর্যয় সামলাতে অন্তত ৬০ কোটি ডলার প্রয়োজন।  সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সম্মেলনে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ এ কথা জানায়।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, আফগানিস্তান তালেবানের দখলে যাওয়ার আগে থেকেই দেশটির অর্ধেক জনসংখ্যা, অন্তত এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ বিশ্বের অর্থসাহায্যের ওপরে নির্ভরশীল ছিলেন। এই সংখ্যা আরও বাড়বে। এর অন্যতম কারণ হলো- খরা ও অর্থাভাব।

সম্মেলনে জানানো হয়, আফগানিস্তানে মানবিক সংকট এড়াতে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি মার্কি সহায়তা খুঁজছেন তারা। পুরো বিশ্বের কাছে তারা সাহায্যপ্রার্থী। জবাবে ভারত জানিয়েছে, তারা আগেও সাহায্য করেছে, এখনও করবে।

ভারতের পারাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের এই বৈঠক অত্যন্ত জরুরি ছিল। ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক সব সময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। এই ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। ডব্লিউএফপি’র অংশ হিসেবে বেশ কয়েক বছর ধরে আফগানিস্তানে প্রোটিন বিস্কুট পাঠায় ভারত। গত বছর ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গম পাঠানো হয়েছিল। অন্তত ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে আফগানিস্তানে। অতীতের মতোই এখনও আফগানদের পাশে থাকতে চায় ভারত।

এদিকে, আফগানিস্তানে তালেবানদের শাসন মেনে নেয়নি বহু দেশ। ফলে যে মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য আসত বিভিন্ন দেশ থেকে, তা বন্ধ হওয়ার মুখে। তাই বিপাকে জাতিসংঘ। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রকল্প বিপর্যস্ত।

বর্তমানে আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ এতটাই সঙ্কটে রয়েছে যে নিজের কর্মীদের বেতন পর্যন্ত দিতে পারছে না।

আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানিয়েছে, ৬০ কোটি ৬০ লাখ ডলার অর্থসাহায্য চাওয়া হচ্ছে। এর মধ্য থেকে এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহার করা হবে জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’ (ডব্লিউএফপি)-এ। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে যে এক হাজার ৬০০ আফগানকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছিল, তাদের ৯৩ শতাংশই খাদ্যাভাবে রয়েছেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কারণ, অর্থাভাব।

এমন পরিস্থিতিতে আফগানদের প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে অন্য দেশগুলোর প্রতি। গুতেরেস বলেন, এই মুহূর্তে তালেবানকে সঙ্গে না নিলে আফগানিস্তানের মানুষকে সাহায্য করা যাবে না। কাবুলের আর্থিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার আগে অন্য দেশগুলোর সাহায্য প্রয়োজন। আর্থিক বিপর্যয়ের আফগানিস্তানকে কীভাবে রক্ষা করা যায়, তার পথ বিশ্বকে খুঁজে দেখতে হবে।

এদিকে আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক বিপর্যয় সামলাতে চীনও এদিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে এগিয়ে আসার। এবিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, তালেবানেরও উচিত নিজেদের প্রতিজ্ঞার কথা মনে রাখা এবং যাবতীয় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম থেকে নিজেদের মুক্ত করা। বিশ্বের সবার জন্যই সন্ত্রাস আশঙ্কার, ভয়ের। আফগানিস্তান যাতে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর না হয়ে ওঠে, তার জন্য সন্ত্রাস-দমনে সব দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী চীন।

একুশে সংবাদ/ঢা/তাশা

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর