সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আফগানে নারীদের বোরকা নয় হিজাব বাধ্যতামূলক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪২ পিএম, ১৮ আগস্ট, ২০২১

তালেবান নতুন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান গোষ্ঠী। এছাড়া নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে বোরকা বাধ্যতামূলক নয় বলে উল্লেখ করেছে তালেবান।

ক্ষমতা গ্রহণের দু’দিন পর রাজধানী কাবুলে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, ইসলামিক মূল্যবোধই হবে নতুন আফগান সরকারের মূল ভিত্তি। এরই মধ্যে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন কাতারে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাসনে থাকা গোষ্ঠীটির শীর্ষ নেতারা।
 
তবে নতুন আফগান সরকার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশটির সাধারণ নাগরিকরা। এদিকে তালেবান যুদ্ধে জয়ী হয়েছে উল্লেখ করে, শিগগিরই তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
 
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে, রাজধানী কাবুল ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। রাস্তায় যানবাহন চলাচল বাড়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের আনাগোনাও ছিল আগের দুই দিনের তুলনায় বেশি। তবে, শহরের গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্টগুলোতে তালেবান সদস্যদের সশস্ত্র টহল ছিল চোখে পড়ার মতো।
 
রাজধানী কাবুল ক্রমেই তার পুরনো চেহারায় ফিরলেও তালেবান সরকার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাধারণ আফগানরা। যুদ্ধ শেষ হওয়ায়, অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করলেও দেশটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা এবং আর্থসামাজিক অবস্থা নিয়ে এখনও সংশয়ে আছেন বহু আফগান।
 
আফগান জনগণ তথা নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি দমন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহৃত হতে না দেওয়ার শর্তে নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারও করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল।
 
এর আগে ক্ষমতা দখলের দুই দিনের মাথায় মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাজধানী কাবুলে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে তালেবান। এ সময় গোষ্ঠীটির মুখপাত্র বলেন, নতুন আফগান সরকারের মূল ভিত্তি হবে ইসলামিক মূল্যবোধ। একই সঙ্গে শরিয়া আইন অনুযায়ী নারীরা তাদের অধিকার ভোগ করবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
 
তিনি বলেন, শিগগিরই সরকারের সব দপ্তর সক্রিয় করা হবে। নারীসহ সব সরকারি কর্মকর্তা তাদের কর্মস্থলে ফিরবে এবং শরিয়া আইন অনুযায়ী কাজ করবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ অন্যান্য খাতে আমাদের নারীদের প্রয়োজন, কেননা তারা এই সমাজেরই অংশ, তাদের বাদ দিয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
 
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশিদের হয়ে কাজ করা সব আফগান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও অঙ্গীকার করেন তালেবান মুখপাত্র। দেশের তরুণ মেধাবীরা যাতে দেশ ছেড়ে না যায়, তারা যেন মাতৃভূমির হয়ে কাজ করে সে লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসও দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
 
জাতিসংঘ মহাসচিব মন্তব্য করেছেন, আফগান জনগণের প্রতি দেওয়া এসব প্রতিশ্রুতি পূরণে তালেবান সক্ষম হয় কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। মঙ্গলবার, জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

একুশে সংবাদ

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর