সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

৫ টাকায় সংসার চলে সাম্পান মাঝিদের

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০২৩

কর্ণফুলী নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যাত্রী পারপার করলে পারিশ্রমিক মেলে মাত্র ৫ টাকা। আর এই ৫ টাকায় সংসার চলছে তাদের। বলছিলাম সাম্পান মাঝিদের কথা৷ খরস্রোতা নদীর উত্তাল ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে প্রতিদিনই চলে তাদের সংগ্রাম।

 

কী অক্লান্ত পরিশ্রমই করেন তারা? তবে মজুরীর বেলায় কেন এত কম? তা হয়তো কারোরই জানা নেই। চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার টেক্সঘর গেলে দেখা মেলে এমন চিত্রের। যা ছিলো রীতিমতো হৃদয়বিদারক। রোদ কিংবা ঝড়বৃষ্টি কোন পরিবেশই বন্ধ থাকেনা এ সাম্পান। স্রোত অনুকুলে থাকুক কিংবা প্রতিকুলে নদীর বুকে সাম্পানের বৈঠা চলে সব সময়ই।

বলা চলে কর্ণফুলী নদী আর এখনাকার সাম্পানের মাধ্যমেই বহিঃর্বিশ্বে কাছে পরিচিতি পায় চট্টগ্রাম। আর এই সাম্পানই এখন হারিয়ে যাচ্ছে নদীর বুক থেকে আধুনিক মোটরচালিত বোট কিংবা জাহাজের ভীড়ে। এখন আর দেখা যায়না পালতোলা সাম্পান অনেকাংশ বিলীন হয়ে গেছে এ যানটি। ২শ বছর আগেও আমদানী রপ্তানিতে যে যানটি ছিল এক এবং অদ্বিতীয়, কালের বিবর্তনে সে যানের সাম্পান মাঝিরাও আজ অসহায়। নুন আনতে ফান্তা ফুরায় তাদের। কোনমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে।

 

সাম্পান চালিয়ে সংসার চালান নুরুল আমিন। শুধু নুরুল আমিন নয় সাম্পান চালাতেন নুরুল আমিনের বাপ দাদারাও। বলা চলে এটা তাদের চৌদ্দ পুরুষের পেশা। নদী পারাপার হতে ৫ টাকা ভাড়া নেন তিনি৷ আর এভাবেই দৈনিক ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা আয় করেন তিনি। তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই বাজারে এ সামান্য টাকায় সংসার চলেনা তার। সংসারে টানাপোড়েন লেগেই থাকে তাদের। এ পেশা ছেড়ে যেতেও পারছেন না তবে মাঝেমধ্যে ধানকাটাসহ অন্য কিছু কাজ করেও সংসার চালান বলে জানিয়েছেন এই সাম্পান মাঝি৷

 

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋনের ব্যবস্থা করা গেলে টিকে থাকবে সাম্পান মাঝিদের এই পেশা আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

ফিচার বিভাগের আরো খবর