সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

স্বেচ্ছাসেবীদের উদ্যোগে গ্রাম হলো ‘শহর’

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১

একটি সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বদলে গেছে একটি গ্রামের দৃশ্যপট। সরকারের ক্রমাগত উন্নয়নের পাশাপাশি একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনায় গ্রামটি শহরের রূপ ধারণ করেছে।

গ্রামের রাস্তায় বসানো হয়েছে ল্যাম্পপোস্ট । সরকারের ক্রমাগত উন্নয়নের পাশাপাশি একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনায় গ্রামটি শহরের রূপ ধারণ করেছে।

বলছি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বানঘর গ্রামের কথা। সংগঠনটির প্রায় ৯ লাখ টাকার অনুদানে গ্রামজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে অর্ধশতাধিক সোলার ল্যাম্পপোস্ট।

গ্রামকে আলোকিত করার পাশাপাশি সংগঠনের উদ্যোগে বাস্তবায়ন হচ্ছে একের পর এক জনকল্যাণমুখী পরিকল্পনা।

জানা যায়, উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের বানঘর গ্রামের একঝাঁক তারুণ্যের ওই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা পায়। সংগঠনের উদ্যোক্তারা গরিব, অসহায়দের মানবিক সহয়তা, শিক্ষাবৃত্তি, বিনামূল্যে গাছের চারা, দুর্যোগে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, করোনায় সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 

জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে বানঘর গ্রামীণ সড়কের দু’পাশ, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসাসহ ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা হয়। সোলারের আলোর ঝলকানি পাল্টে গেছে পুরো গ্রামের চিত্র। গ্রামটি শতভাগ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এলেও বিদ্যুৎ চলে গেলেও দেখা যায় সোলার ল্যাম্পপোস্টের আলো। রাতের বেলায় আলোর ঝলকানিতে গ্রামটি শহরের রূপ ধারণ করে। তারুণ্যের এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগে এলাকাবাসী মহাখুশি।  

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি সোনাইমুড়ি হামিদিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেন জানান, সোলার ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সারা রাত গ্রামটি আলোকিত থাকায় চুরি, ডাকাতিসহ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা প্রতিরোধ হয়েছে।

সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক আলাউদ্দিন জানান, বানঘর গ্রামকে উপজেলায় একটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য।


একুশে সংবাদ/ ম.র /এস

ফিচার বিভাগের আরো খবর