সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সয়া কেন খাবেন  ?

প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ২ নভেম্বর, ২০২০

সয়া মিল্ক, সয়া সস, টোফু, তেল, নাগেটস, গ্রানুলস, চ্যাম্প এবং এডামাম- এগুলো সয়া জাতীয় খাবার।সয়া বিশ্বজুড়ে খুবই জনপ্রিয় খাবার।এ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে প্রশংসিত। সয়াবিন জাতীয় শস্য থেকে এসব খাবার পাওয়া যায়।

পূর্ব এশিয়া থেকে উৎপন্ন হওয়া সয়া এখন এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং উত্তর আমেরিকার বড় অংশে জন্মে এবং প্রক্রিয়াজাত হয়। বর্তমান সয়াজাত খাবার বা পণ্যগুলো মুদি দোকানে খুব সহজেই পাওয়া যায়।

এত জনপ্রিয় কেন: সয়া খাবার এত জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হলো- সয়ায় অনেকগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের একটি উৎস। প্রকৃতপক্ষে উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের সমস্ত অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে এ খাবারে।

এগুলো ছাড়াও প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৯, ভিটামিন কে, তামা, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস এবং মলিবডেনামের খনিজ রয়েছে। সয়ায় আইসোফ্লাভোন্স, ফাইটিক অ্যাসিড এবং স্যাপোনিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়।

সয়া জাতীয় খাবার ৫ ধরনের স্বাস্থ্য সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে-

ওজন কমায়: সয়া জাতীয় খাবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা অনুভব থেকে বিরত রাখে। যার ফলে অযাচিত খাবার থেকে বিরত রাখে। এতে আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করে।

পেশী গঠনে: সয়া পণ্য আপনার শরীরের প্রোটিন বাড়ায় এবং পেশী গঠনে সহায়তা করতে পারে। সয়া জাতীয় খাবার শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ: গবেষণায় দেখা গেছে, সয়া জাতীয় খাবারের ফাইটোনিউট্রিয়েন্টগুলোর উচ্চ ঘনত্ব পুরুষ এবং নারীদের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। নারীদের স্তন ক্যান্সার এবং পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে সয়ার উপস্থিতি মস্তিস্কের ক্ষতের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারে। এ ক্ষতগুলো জীবনের অনেক স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়। তাই সয়া জাতীয় খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি বা ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।

হাড়ের উন্নতি: সয়া জাতীয় খাবারগুলো আইসোফ্লাভোন্সযুক্ত। এটি একধরনের ফাইটোনিট্রিয়েন্ট, যা দেহে ফ্ল্যাভোনয়েড ক্রিয়াকলাপ বাড়ায়। এ আইসোফ্লাভোন হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। এমনকি মেনোপজে পৌঁছে যাওয়া নারীদের অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি রোধ করে।

একুশে সংবাদ/তাশা

ফিচার বিভাগের আরো খবর