সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিলুপ্তির পথে দেশি চাঁদিঠোঁট পাখি

প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

এরা চড়ুই আকৃতির পাখি। তাই অনেকেই চড়ুই ভেবে থাকেন। বসবাসের জন্য এরা নিরাপদ জায়গা পছন্দ করে। মানুষের সমাগম দেখলে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে একসময় এ পাখি প্রচুর দেখা যেত।
   
এরা ‘ছোট মুনিয়া’ নামেও পরিচিত।পাখিটির নাম ‘দেশি চাঁদিঠোঁট’। এর ইংরেজি নাম ‘ইন্ডিয়ান সিলভারবিল (Indian Silverbill)’। বৈজ্ঞানিক নাম ‘লঙ্কুরা মালাবারিকা’ (Lonchura malabarica)। 


তবে কাশবন, ছোট গুল্ম ও ঝোপঝাড় কমে যাওয়ায় দেশি চাঁদিঠোঁট বা মুনিয়া পাখি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে।


এরা ধূসর ঠোঁট ও কালো লেজের পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার এবং ওজন প্রায় ১২ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির সাদা কোমর, দেহের পেছনের অংশ, ডানাসহ পিঠ ফিকে ও মেটে বাদামি।

লম্বা সুচালো লেজ কালো। দেহতল সাদাটে। ঠোঁট ত্রিকোণাকার ও ধূসরাভ। পা, পায়ের পাতা ও নখর ধূসরাভ-পাটল রঙের। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন।


কাশবন, বালুময় শণবন, নদীতীরের আবাদি জমি ও কাঁটা ঝোপে এরা বিচরণ করে। ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্যপ্রাচ্যে এদের দেখতে পাওয়া যায়। প্রকৃতিগতভাবে এরা মুনিয়ার সমগোত্রীয়।


এ পাখি সচরাচর দলে থাকে। ভূমিতে, ঘাসবনে ও মেঠোপথে লাফিয়ে লাফিয়ে খাবার খোঁজে। খাদ্যতালিকায় রয়েছে বীজ ও ছোট পোকা। এরা কোনো কোনো সময় বাবুই পাখির পরিত্যক্ত বাসায় রাত কাটায়। প্রজনন সময় জুলাই থেকে ডিসেম্বর।

কাঁটা ঝোপের দুই-তিন মিটার উঁচুতে ঘাস, পাতা, পালক, পশম ও তুলা দিয়ে বলের মতো বাসা বানায় এবং ডিম পাড়ে। ডিমের রং সাদা, সংখ্যায় চার থেকে আটটি। ছেলে ও মেয়ে পাখি দুজনই ডিমে তা দেয় এবং ছানা পালন করে।

নওগাঁ সদর উপজেলার পার-নওগাঁ এলাকার এক ধানক্ষেত থেকে ছবিগুলো তুলেছেন ফটোগ্রাফার শামীনূর রহমান। তবে খুব বেশি একটা দেখা যায় না এদের।

একুশে সংবাদ/তাশা

ফিচার বিভাগের আরো খবর