সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কনকনে শীতে জবুথবু পঞ্চগড়ের জনজীবন, কাঁপছে সর্বস্থরের মানুষ!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৫৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারি, ২০২১

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা উঠানামা করায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে করে জবুথবু হয়ে পড়েছে এ জনপদের সর্বস্থরের মানুষের জনজীবন। শীত নিবারণে গরম কাপড়ের অভাবে বিশেষ করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে জেলার নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন বিকেল ৩টায় দিনের সর্বচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা্ হয়েছে  ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই দেখা নেই সূর্যের মুখ। উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়া ও প্রচন্ড শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবিকায় নিয়োজিত মানুষদের জীবনে। এতে করে শীতের প্রভাবে গরম কাপড়ের অভাবে গরীব ও শীতার্ত মানুষের বাড়ির আঙ্গিনায় কিংবা ফুটপাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এদিকে কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে কাজে বের হতে দেখে যায় নি অনেক খেটে খাওয়া ও দিন মজুর মানুষদের।

অন্যদিকে দিনভর কিছুটা কুয়াশা থাকলেও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকে পুরো জেলা। দিনের বেলায় শীত কিছুটা কম থাকলেও প্রতিনিয়ত থাকছে ঠান্ডা বাতাস। বাজার গুলোতে কিছুটা ভিড় লক্ষ করা গেলেও বেশীভাগ সময় শহরের ব্যাস্থতম সড়কগুলো প্রায় জানশূন্য দেখা গেছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, তীব্র শীতের কারনে দিন দিন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। আর শীত জনিত রোহে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, পঞ্চগড় জেলা হিমালয়ের একবারে পাদদেশে অবস্থিত হওয়ায় প্রতিবারে শীত একটু ভিন্ন ভাবে আসে। গত এক সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই উঠানামা করছে। গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ঘর থেকে ৮ ডিগ্রি ঘরে লুকোচুরি খেলছে। ফলে বেড়ে শীতের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এদিকে আবহাওয়া পূর্বাভাস সূত্রে জানা গেছে কন্টিনিউ ভাবে এই শীত নামবে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডাক্তার ফজলুর রহমান জানান, শীতের এই সময় বয়স্ক-শিশুদের নিউমনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন অসুখ হয়ে থাকে। তাই শীতে সকলকে সাবধারন থাকতে হবে। ঠান্ডা লাগে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে হাসপাতালে ভর্তি হবে। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শীতের এই সময় ভাইরাস জনিত কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। কাজেই অভিভাবকরা বাচ্চাদের প্রতি সচেতন থাকবে। ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন খাবার স্লাইন খাওয়াবে। বেশী সমস্যা হলে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।

একুশে সংবাদ/ডি.হ/এস

পরিবেশ বিভাগের আরো খবর