সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, বিয়ের পর পরই শুরু হয়েছিল অত্যাচার। মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে করিশ্মাকে নিলামে তুলেছিলেন। নিজের এক বন্ধুর সঙ্গে সহবাসের জন্য জোর করেছিলেন। এমনকি, সেই বন্ধুর কাছে করিশ্মার সঙ্গে সহবাসের দামও হাঁকিয়েছিলেন দিল্লির ব্যবসায়ী সঞ্জয়। রাজি হননি করিশ্মা। পরিণামে চলেছিল চরম মারধর।
এখানেই শেষ নয়, স্বামীর পাশাপাশি শাশুড়িও মারধর করতেন বলে অভিযোগ করিশ্মার। ওই সাক্ষাৎকারে করিশ্মা জানান, তাঁকে বিয়ের পরেও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেননি সঞ্জয়। লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। বিষয়টি করিশ্মা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন। তখন সঞ্জয় এবং তাঁর মা, দু’জনে মিলে মারেন তাঁকে।
প্রাক্তন স্বামীর অত্যাচারের আরও কিছু নমুনা তুলে ধরেছেন করিশ্মা। তখন তিনি সন্তানসম্ভবা। স্বাভাবিক কারণেই ওজন বেড়েছিল। শাশুড়ির উপহার দেওয়া পোশাক গায়ে ঢুকছিল না। জেনে মাকে চড় কষানোর নিদান দিয়েছিলেন সঞ্জয়।
২০১৬ সালে পাকাপাকি বিচ্ছেদ হয় সঞ্জয়-করিশ্মার। রণধীর কপূর মেয়ের প্রাক্তন স্বামীকে ‘তৃতীয় শ্রেণির মানুষ’ বলে গাল পেড়েছিলেন। টাকার জন্য ধনী ব্যবসায়ী সঞ্জয়কে বিয়ে করার অভিযোগও উড়িয়ে দেন। বলেন, ‘‘আমাদের ক্ষমতা সকলে জানেন। আমরা কপূর। আমাদের কারও টাকার পিছনে ছোটার দরকার পড়ে না।
শুধু টাকা নয়, আমাদের প্রতিভাও যথেষ্ট। সেই দিয়ে আমাদের বাকি জীবনের গ্রাসাচ্ছাদন অনায়াসে হয়ে যাবে।’’ এর পরেই আক্রমণ করেছিলেন সঞ্জয়কে। বলেছিলেন, ‘‘উনি একটা তৃতীয় শ্রেণির মানুষ। আমি কোনও দিন ওঁর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে চাইনি। অন্য মহিলাদের সঙ্গে থাকতেন। গোটা দিল্লি জানে উনি কেমন। আর কোনও কথা বলতে চাই না।’’
একুশে সংবাদ/ আ.বা/ রখ