সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

খিলগাঁও অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে হত্যা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:২৯ পিএম, ৪ মে, ২০২৪

রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গলি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পরিচয় শনাক্তের পর এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারই আপন চাচাতো ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। নিহতের নাম হাবিবুর রহমান রুবেল (৩১)।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম। হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মনির হোসেন (২৫)। তিনি পেশায় নরসুন্দর ও সেলুন মালিক। হত্যায় ব্যবহৃত বিদ্যুতের তার ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জারায়, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় নিহত রুবেল নানাভাবে মনিরকে হয়রানি করতেন। এমনকি নিজে কাজ না করে মনিরের আয় করা টাকা জোর করে নিয়ে নিতেন। টাকা না পেলে মনিরের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করতেন। ফলে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেলকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

তিনি বলেন, ২ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে খিলগাঁও থানাধীন সিপাহীবাগ আইসক্রিম ফ্যাক্টরির গলি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার মরদেহটি তার স্বামী হাবিবুর রহমান রুবেলের বলে শনাক্ত করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রুবেলের মা মিনু বেগম একটি হত্যা মামলা করেন।

এডিসি রাশেদুল বলেন, মামলা তদন্তে নেমে খিলগাঁও এলাকার সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ, পর্যালোচনা ও বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি পুলিশকে জানান, রুবেল তার আপন চাচাতো ভাই। গত ১ মে রাত ১১টার দিকে রুবেল তার চুল কাটার দোকান মনির হেয়ার স্টাইল সেলুনে চুল কাটতে আসে। চুল কাটার সময় বিদ্যুতের তারে শক দিয়ে ও পরে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করেন। পরবর্তীতে কমিশনার গলি এলাকার একটি তোষকের দোকান থেকে তোষক এনে মরদেহটি তার সেলুনে থাকা বস্তায় ভরে তোষকে পেচিয়ে পাশের গলিতে ফেলে দেন।

ক্ষোভ থেকে এ হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে মতিঝিল বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, জমি-জমা ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল তাদের। রুবেল কাজ করতেন না। বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করতেন। টাকা না পেলে ঝগড়া বিবাদে জড়াতেন। কিছুদিন আগেও টাকা না দেওয়ায় ১৫ দিন সেলুন বন্ধ রাখতে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে ১২ হাজার টাকা দেওয়ার পর সেলুন খুলতে দেন। সব কিছু মিলিয়ে মনির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি রুবেলকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজছিল। গত ১ মে রাতে রুবেল চুল কাটাতে আসেন। তখন মনির সব কর্মচারীকে ছুটি দিয়ে রুবেলের চুল কাটতে শুরু করেন।

 

একুশে সংবাদ/জা.নি/সা.আ

জাতীয় বিভাগের আরো খবর