সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই: পরীমনি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:২৯ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি মাদক মামলায় দীর্ঘ ২৭ দিন কারাভোগের পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন বুধবার (০১ সেপ্টেম্বর)।  এখন তিনি তার বনানীর ভাড়া বাসায় রয়েছেন। মিডিয়ার সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেননি তিনি। তবে রিমান্ডে তার দেওয়া তথ্য প্রকাশ হওয়ায় তিনি বিব্রত।

পরীমনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সেভাবে হয়রানি করেনি তারা আমাকে। কী হয়েছে সবই আমি বলব। ফোন, গাড়ি সব সিআইডিতেই আছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলো ওই ফোনেই ছিল।

তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই। তাও আমার ফোন থেকে। আমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজও নিয়ে যায়। অনেক তো হলো। সবকিছুই তো একটা জায়গায় শান্ত হওয়া উচিত। আমি টায়ার্ড হয়ে যাই মাঝে মাঝে। কতক্ষণ পারা যায় এভাবে?

আদালতে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চোখের সামনে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, আমি বলব না? আমাকে যখন এখান (বাসা) থেকে নেয় তখন আমি জানতামই না, আমাকে গ্রেপ্তারের জন্য নেওয়া হয়েছে। কত নাটক করে আমাকে এখান থেকে নিল। বলল, জাস্ট অফিসে যাবেন, কথা বলবেন, চলে আসবেন। ওমা, পরদিন দেখি পরীমনি গ্রেপ্তার। আমি বুঝলাম না কিসের জন্য। এগুলো অনেক কথা। সব বলব আমি।

সংবাদমাধ্যমের ওপর বিরক্ত পরীমনি বলেন, সবাই পরিচয় দিচ্ছেন সাংবাদিক। সবাই কি সাংবাদিক? মোবাইল হাতে নিলেই কি সাংবাদিক হয়ে যায়? এরা কেউ আসলে সাংবাদিক না। বেশিরভাগ ইউটিউবে কন্টেন্ট বানায়। ফ্ল্যাটের লোকজন তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তারা না সরে সাংবাদিক পরিচয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সাংবাদিক বলে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজনকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আসলে এসব করে তারা ইউটিউব কন্টেন্ট বানাবে। রসাল হেডিং দেবে।

শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, পাগল হয়ে গেছি। ছাড়া পাওয়ার আগের রাতে এক্সাইটমেন্টে ঘুম হয়নি। আমাদের সঙ্গে যারা ছিল ওদের কেউ কেউ নামাজ পড়ছিল, কেউ জেগে ছিল। ওদের সঙ্গেও একটা সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। ফজরের আগে ভাবলাম দুই ঘণ্টা ঘুমাই, ৮টার সময়ে হয়তো ডাকবে। ওমা, ফজরের আজানের পরই শুরু হয়েছে একজনের পর একজন আসা। একজন বলছে রেডি হও, যেতে হবে। একটা ফোঁটাও আমি ঘুমাইনি। গাড়িতে একটুখানি চোখটা বন্ধ হয়েছিল।

গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

 পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে চারদিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

পরে ১৩ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে আদেশ দেন কারাগারে পাঠানোর।  ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে আদালতের আদেশে পরীমনিকে প্রিজনভ্যানে করে পাঠানো হয় কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এরপর গত ১৯ আগস্ট ওই কারাগার থেকে  তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয় পরীমনিকে। ২১ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে পুনরায় পাঠানো হয় কারাগারে।

একুশে সংবাদ/স/তাশা

বিনোদন বিভাগের আরো খবর