সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ধীরে ধীরে স্বকীয়তা হারিয়েছে বাংলা ছবি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

১৯৭১ এর পর আমাদের চলচ্চিত্রে প্রথম যে আঘাতটি আসে তা হলো মারপিট বা মারদাঙ্গা ছবি। যার সূত্রপাত ঘটেছিলো “রংবাজ” (১৯৭৩) ছবির হাত ধরে। তার আগের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ এ বেশকিছু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র যেমন জয়বাংলা, ওরা এগার জন, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী এবং রক্তাক্ত বাংলা নির্মিত হয়। যার কোনটিকেই যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র বলা যায় না। কেননা যুদ্ধভিত্তিক ছবির যে ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক পটভূমির প্রয়োজন, তার কোনটিই এসব ছবিতে আমরা পাইনা।

মারদাঙ্গা ছবির পাশাপাশি শুরু হলো গল্প চুরির অবাধ স্বাধীনতা। ভারতীয় হিন্দী ছবির অনুকরণে নির্মিত হতে থাকলো একের পর এক ছবি। অনুকরণ প্রথা ষাটের দশকেও যে ছিলোনা তা নয়। তবে সেই অনুকরণ ছিলো শুধু ছবির নায়ক–নায়িকা এবং স্বল্প পরিমাণে সংলাপ কেন্দ্রিক। যেমন নায়ক রাজ্জাক, রহমানকে দেখা যেতো উত্তম কুমারের অনুকরণে চুলের বিন্যাস করতে। সুচীত্রা সেনের সাজসজ্জার অনুকরণে আমাদের নায়িকাদের সাজ। যা ছিলো শুধুই বহিরঙ্গের অনুকরণ। অভিনয়ের মঞ্চে যে যার বৈশিষ্ট আর ব্যক্তিত্ব বজায় রেখেছেন। কিছু কিছু ছবিতে কোলকাতা কেন্দ্রিক ছবির সংলাপের অনুকরণে সংলাপ উচ্চারিত হলেও তা ছিলো নিতান্তই নগণ্য।

কিন্তু স্বাধীনতা উত্তর শুরু হলো শুধু অনুকরণ নয বরং অনুরণন। রঙিন ছবির আলোচনার পূর্বে এখানে একটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন ১৯৬৪ সালে জহির রায়হান পরিচালিত ‘মালা’ এবং ‘সঙ্গম’ ছবি দুটি যথক্রমে এদেশের প্রথম রঙিন সিনেমাস্কোপ এবং পূর্ণ রঙিন সিনেমা। এই দুটি ছাড়া সেই সময়ে আর কোন রঙিন ছবি আমরা দেখিনা। স্বাধীনতা উত্তর কালে ১৯৭৮ এর পর রঙিন পর্দা চলচ্চিত্রে প্রথম দৃষ্টিগোচর হতে লাগলো। তবে পূর্ণাঙ্গ রঙিন নয়, আংশিক। শুধু গান বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছবির দৃশ্য রঙিন দেখা যায়।


একুশে সংবাদ/স/আ

বিনোদন বিভাগের আরো খবর