সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

থাকছে না শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ২১ মে, ২০২২

 

 

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতা কাটাতে এনটিআরসিএ’র আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে। নতুন আইন অনুযায়ী শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা থাকছে না। নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে শূন্যপদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আদলে এটি গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

 

বর্তমান নাম পরিবর্তন করে বেসরকারি শিক্ষক নির্বাচন কমিশন (এনটিএসসি) গড়ে তোলা হবে।

 

এনটিআরসিএ থেকে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করে। এনটিআরসিএ’র নিবন্ধনের লিখিত-মৌখিক পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের একটি জাতীয় মেধাতালিকা রয়েছে। সারাদেশের শিক্ষক শূন্য আসনের তালিকা সংগ্রহ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। জাতীয় মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীরা নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারেন। মেধাক্রম অনুযায়ী এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।

 

দেখা যায়, এনটিআরসিএ’র মাধ্যমে সারাদেশ থেকে শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ ও নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হচ্ছে। নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন ও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব, শিক্ষক নিয়োগে জটিলতাসহ নানা কারণে এ প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে বিতর্ক উঠেছে। অনেকে এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের সক্ষমতা ও যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। 

 

এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান বলেন, এনটিআরসিএ’র সব কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমান জনবল দিয়ে বিশাল সংখ্যক প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষা, শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ ও নিয়োগের সুপারিশ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তার ওপর যারা শূন্যপদের তালিকা দিচ্ছেন তারা নানা ধরনের ভুল চাহিদা দিচ্ছেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার আমাদের সুপারিশ করা প্রার্থীদের যোগদান করতে দিচ্ছে না।

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের আইনের খসড়া তৈরির পর সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর সচিব পরিষদের পর মন্ত্রিপরিষদের সভায় তোলা হবে। সেখানে অনুমোদন হলে তা জাতীয় সংসদে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এনটিএসসির জন্য জনবল নিয়োগে পদ সৃজন ও নিয়োগ দিতে হবে। অফিস তৈরি করতে হবে। এসব মিলিয়ে সময় প্রয়োজন আছে।

 

একুশে সংবাদকম/জ.ন.জা.হা

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর