সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৫৮ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪

ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণাতেই এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পেঁয়াজের দাম। যদিও দেশের বাজারে নেই সংকট, তারপরও বেড়েছে এই নিত্যপণ্যের দাম। পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় আদা-রসুন-পেঁয়াজের আড়তে এসে আকস্মিক দাম বৃদ্ধির চাপে পড়েছেন বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর পেঁয়াজ সরবরাহ করা সবচেয়ে বড় আড়ত শ্যামবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগের দিনও তারা ৪২-৪৫ টাকায় শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন। মাত্র এক রাতের ব্যবধানেই সেই পেঁয়াজ কিনছেন তারা ৫০-৫৫ টাকায়।

আড়তদাররা জানান, পাবনা, ফরিদপুরসহ দেশের সব স্থানের মোকামেই ১ হাজার ৭০০ টাকার বস্তা গিয়ে ঠেকেছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকায়।

তবে আড়তদাররা জানান, পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলেও শিগগিরই সংকটে পড়তে যাচ্ছে না দেশ, তবুও দিনশেষে এক রাতের ব্যবধানেই দামবৃদ্ধি দেখা গেল পেঁয়াজের।

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, শুধু ঘোষণার কারণেই তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যদি দেশে সত্যিকার অর্থে সংকট দেখা দেয় তাহলে এই দাম আকাশছোঁয়া হবে। আর একবার কোনো কিছুর দাম বাড়ালে, সেই সংকট যতই কাটুক, দাম কমান না তারা।

যদিও বিশেষ প্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। তবে ভারতের হঠাৎ ঘোষণার রেশ কেটে গেলেই দাম আবার কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। পেঁয়াজ এলে টিসিবির মাধ্যমে যৌক্তিক মূল্যে তা বাজারে বিক্রি করা হবে। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির পর আর আমদানি করতে হবে না। কারণ তখন দেশি পেঁয়াজ বাজারে পাওয়া যাবে।

এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ভারতের নির্বাচনকে সামনে রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ রফতানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। সেই ঘোষণার প্রভাবেই এক রাতের ব্যবধানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজের বাজার।


একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর