সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ডলার নিয়ন্ত্রনে ১৩৫টি পণ্যে অতিরিক্ত কর

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ২৮ মে, ২০২২

আগামী কয়েকদিন পরই ঘোষণা করা হবে নতুন অর্থবছরের বাজেট। কিন্তু তার আগেই বিলাসবহুল পণ্য এবং বিদেশি ফলে বসলো নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক। ডলার চলে যাওয়া নিয়ন্ত্রন করতে নেওয়া হয়েছে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। মোট ১৩৫টি পণ্যে বসানো হয়েছে বাড়তি কর।

 

আমদানি নির্ভর ফল বিশেষ করে মাল্টা, বিভিন্ন ধরনের আপেল, নাসপাতি, আনার কিম্বা আঙ্গুর এসব ফলে বাড়ানো হয়েছে শুল্ক।  শুধু ফলই নয়। ১৩৫টি বিলাসবহুল পণ্যে শূন্য এবং ৩ ভাগের পরিবর্তে ২০ ভাগ শুল্কারোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। যা গত ২৩ মে থেকেই কার্যকর করেছে এনবিআর। বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় করাই এর উদ্দেশ্য।

 

এছাড়া আসবাবপত্র এবং শিল্প সংক্রান্ত কাঁচামাল আমদানিতেও বসেছে ২০ ভাগ শুল্ক। বিদেশি প্রসাধনীতে আমদানিতে বসেছে ২০ ভাগ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক। রড এবং সিমেন্ট আমদানিতেও বসানো হয়েছে শুল্ক। এতে বাড়বে নির্মাণ ব্যয়।

 

এ নিয়ে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমাদের আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সেজন্য ডলারের চাহিদাও বেড়েছে। করোনার সময় রেমিট্যান্সে আমরা যে বৃদ্ধি দেখেছি, ওই সময় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা এক বছরে বেড়েছিল। সেটি যে কারণে বেড়েছিল, করোনা পরবর্তী সময়ে তা আর নেই। ফলে যোগান ও চাহিদার মধ্যে একটি বড় ফারাক তৈরি হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে পণ্যের দাম। তবে চাহিদার তুলনায় ডলারের যোগান না থাকায় বৈদেশিক লেনদেনে তৈরী হয়েছে ঘাটতি। শুধু এনবিআরই নয়, বিলাসবহুল পণ্য নিরুৎসাহিত এবং বিদেশ ভ্রমণও নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়।

 

 

একুশে সংবাদ.কম/য.ট.জা.হা

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর