সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কঠোরতম বিধিনিষেধে ব্যাংক সেবা সীমিত সময়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৩৩ পিএম, ২২ জুলাই, ২০২১

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর থেকে শুরু হচ্ছে আবার কঠোর লকডাউন বিধিনিষেধ। লকডাউন বিধিনিষেধের মধ্যেও কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকবে ব্যাংক ।

আগামী রোববার (২৫ জুলাই) থেকে গ্রাহকদের চাহিদামতো ব্যাংকগুলো তাদের শাখা খোলা রাখবে। কঠোর বিধিনিষেধের এই সময়ে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলবে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। 

ব্যাংকিং সেবা চালু রাখা নিয়ে গত ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিত সংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জরুরি বিভাগসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে ব্যাংকগুলো। শাখা খোলা রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে, নিজ বিবেচনায় খোলা রাখা যাবে। এই সময়ে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলবে।

বিধিনিষেধ চলাকালে হিসাবে নগদ/ চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট/ পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ—এসব সেবার পাশাপাশি বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির ভাতা/ অনুদান বিতরণ ইত্যাদি সেবা মিলবে। এ ছাড়া একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা–সংবলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং এসব সুবিধা–বহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকেরা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস/ ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন–সংক্রান্ত সেবা পাবেন গ্রাহকেরা।

এই সময়ে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক সেবা চালু রাখতে হবে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার (২৩ জুলাই) শুরু হওয়া ১৪ দিনের বিধিনিষেধ আগের চেয়ে কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবারের চেয়ে কঠিন হবে এবারের বিধিনিষেধ। এটি বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। এ সময় অফিস-আদালত, গার্মেন্টস-কলকারখানা ও রপ্তানিমুখী সবকিছুই বন্ধ থাকবে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, যেহেতু অফিস আদালত, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও রপ্তানিমূলক কাজ সবই বন্ধ থাকবে। এ পর্যন্ত যতগুলো সর্বাত্মক কঠোর বিধি-নিষেধ হয়েছে এবারের বিধিনিষেধ তার চেয়েও কঠোর হবে।

বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করার জন্য মাঠে পুলিশের পাশাপাশি এবারও থাকছে বিজিবি ও সেনাসদস্য বলেও জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যারা ঈদে বাড়ি গেছে তারা কিন্তু জানে যে সবকিছু বন্ধ থাকবে। তারা সময় নিয়েই গেছে। তাই তারা যেন ৫ তারিখের পরই আসে।

 

একুশে সংবাদ/স.টি/বর্না
 

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর