সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বন্দরের আমদানি-রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত শুক্রবার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ৮ জুন, ২০২১

মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের পক্ষ থেকে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশন বরাবরে পত্র পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার বিকেলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখার কথা বলা হয়েছে। জানতে চাইলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, করোনা টিকা ও সনদ ছাড়াই ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা দীর্ঘদিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করায় দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয় এবং এই কারণে বন্দর এলাকায় সংক্রমণও বেড়ে যায়।

এ অবস্থায় ভারতীয় ট্রাক চালক ও হেলপাররা করোনা টিকা গ্রহণ করে তার সনদ নিয়ে যেন প্রবেশ করে এজন্য ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে এই দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা আমাদের কথার কোন কর্ণপাত করেনি। তখন আমরা গত এক সপ্তাহ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা কমিয়ে ৫০টিতে করা হয়। এর আগে বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আসতো ১৫০-২০০টির মতো।

তিনি আরও জানান, ভারতের ব্যবসায়ীরা এই সব কারণে ঈর্ষান্বিত হয়ে গত রবিবার ৪ টি শর্ত আরোপ করে আমাদের চিঠি দিয়ে জানায় সব চালক ও হেলপারদের করোনার আওতায় আনা সম্ভব নয় আমাদের। কারণ ভারতে করোনা টিকার সঙ্কট রয়েছে। এটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। শর্ত মেনে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে না।

তাই তারা বুধবার (৯ জুন) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মঙ্গলবার দুপুরে তাদের পত্র দিয়ে জানিয়েছি আগামী শুক্রবার বিকেলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই কয়দিন আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রাখার কথা বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ধিরাজ অধিকারী বাবাই জানান, আমরা ৪ টি শর্ত দিয়ে বলেছি এই মুহূর্তে সকল ট্রাক চালক ও হেলপারদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ভারত জুড়ে টিকার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে গত রবিবার বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের পত্র দিয়েছি। তারা মঙ্গলবার আমাদের পত্রের জবাব দিয়ে আগামী শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় স্থলবন্দর গেটে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মিটিং ডেকেছি। দেখি মিটিংয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো।

শুক্রবার বিষয়টির সুরাহা না হলে শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে। হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী শুক্রবার উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন বলে আমাকে জানায়। আশা করি দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হবে না।

একুশে সংবাদ/রাফি

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর