সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কক্সবাজারে আলোচিত চিংড়ি চাষির হত্যাকারীরা গ্রেফতার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪

বহুল আলোচিত কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার সাহারবিল এলাকায় নির্বাচন পরবর্তীতে সহিংসতার ঘটনায় মোহাম্মদ হোসেন নামক এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণের ঘটনায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ও গুলিবর্ষনকারী সহ এজহারনামীয় ও হত্যাকান্ডে জড়িত ১৪ জন আসামিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব জানায় গত ১০ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার রামপুরা চিংড়িঘের এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ হোসেন নামক একজন চিংড়ি চাষি গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮/১৮, তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং উক্ত ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে ব্যাপক আলোচিত হয়। র‌্যাব উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে। 

এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে র‌্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী শহিদুল ইসলাম লিটন (৪০) সহ জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গুলিবর্ষণকারী মোঃ সোহেল (৩৮) অন্যান্যরা হলে, পরিকল্পনাকারী জয়নাল আবেদীন (৫২), আবু জাফর (৪৫), আজগর আলী (৪৫),  আবুল হোসেন পাখী (৩৫), নাজমুল হোসাইন রকি (৩৫), আবদুর রহিম, মোঃ শাহিন (৩৫), মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন (৫০), প্রদীপ কুমার শীল (৪২), মোঃ রিদুয়ান (৩৫), আবদুল হক (৫০), মোঃ কাইছার (৩৫), পিতা-মোঃ হারুন। গ্রেফতারকৃতরা  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ‘‘রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতি’’ এর সভাপতি হিসেবে গ্রেফতারকৃত জয়নাল আবেদীন এবং সেক্রেটারি হিসেবে শহিদুল ইসলাম লিটন দায়িত্ব পালন করে আসছিল। সমিতিটিতে প্রায় ৬০০-৭০০ জন্য সদস্য ছিল। সমিতির মালিকানাধীন চিংড়িঘেরের সাহারবিলের রামপুর মৌজায় ৫১১২ একরের বিশাল একটি চিংড়িঘের রয়েছে। এর মধ্যে কিছু চিংড়ি ঘেরে সমিতির নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিয়ন্ত্রণে থাকা চিংড়িঘের দখলে নিতে গত ৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে গ্রেফতারকৃত লিটন এর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী চিংড়িঘের এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিতে থাকে। 

এ সময় তারা সমিতির সদস্যদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় এবং সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে কয়েকশত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন সমিতির সদস্য হিসেবে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চিংড়িঘের এলাকার ৪৮ একর জমির মধ্যে খামার ঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন পাশাপাশি চিংড়িঘের পাহাড়ার দায়িত্বেও নিয়োজিত ছিলেন। ভিকটিম মোহাম্মদ হোসেন সন্ত্রাসীদের কথামতো বাড়ি ছেড়ে না যাওয়ায় গ্রেফতারকৃত লিটন ও জয়নাল তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

অপরাধ বিভাগের আরো খবর