সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

স্কুলছাত্রীর গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যা, আসামীরা গ্রেফতার

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

হত্যাকাণ্ডের শিকার নোয়াখালীর সুধারামপুরের লক্মীনারায়ণপুরের মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪)। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।

 

ঘনটাসূত্রে পুলিশ জানায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে অদিতার মা রাজিয়া সুলতানা রুবি তাকে বাসায় রেখে প্রতিদিনের ন্যায় তাহার কর্মস্থল জয়নুল আবেদীন মেমোরিয়াল একাডেমী,বেগমগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী হতে বের হয়। পরবর্তীতে স্কুল থেকে টিউশনি শেষে সন্ধ্যায় বাসায় এসে ঘরের দরজায় বাহির থেকে তালা লাগানো দেখতে পায়। পরবর্তীতে নিজের কাছে থাকা চাবি দিয়ে দরজার তালা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় যে, উক্ত ঘরের উত্তর পাশের ভিকটিমের শয়ন কক্ষের দরজা ভিতর থেকে লক করা এবং ভিতরে টিভি ও ফ্যান চলা অবস্থায় আছে।

 

উক্ত সময় ঘরের বাথরুমের ট্যাপ ছাড়া ছিল। অদিতার মা তাকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের পেছন দিকে গিয়ে অদিতার কক্ষের জানালার গ্লাস ভেঙ্গে টিভির আলোতে দেখতে পায় যে, ভিকটিমের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার উপরে পড়ে আছে। পরবর্তিতে উক্ত কক্ষের দরজার লক ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ভিকটিমের মা দেখতে পায়, অদিতার পরনের পায়জামা খোলা অবস্থায় বিছানার উপরে পড়ে আছে। তার গলায় সামনে থেকে কাঁটা ও বাম হাতের রগ কাঁটা এবং তার মলদ্বারে মল দেখা যায়।

 

উক্ত সময় পুরো বিছানা রক্তে ভিজা এবং খাঁটের নিচে একটি রক্তমাখা ছোরা পড়ে থাকতেও দেখেন। ঘরের দুই কক্ষের আলমিরা, ওয়ারড্রপে থাকা সকল কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য জিনিসপত্র এলোমেলো ও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পরা থাকলেও কোন জিনিসপত্র চুরি হয়নি। উক্ত বিষয়ে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন এবং মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।  

 

তদন্তকালে অদিতার মা পুলিশকে জানান যে, স্থানীয় ইসরাফিল(১৪) ও তার ভাই সাঈদ(২০) তার মেয়েকে প্রায়ই উত্যক্ত করত। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ইসরাফিল ও সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়।

 

নোয়াখালীর সুধারামপুরের লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে রনি (২০),  একই গ্রামের অজি উল্যাহ’র দুই ছেলে মোঃ সাঈদ (২০) ও ইসরাফিল আলম (১৪)।

 

তদন্তকালে গোপন সূত্রে জানা যায় জনৈক রনি নামে এক ব্যাক্তির কাছে ভিকটিম অদিতা প্রাইভেট পড়ত। রনির কাছে হঠাৎ করে অদিতা  প্রাইভেট পড়তে অনিহা প্রকাশ করে ফলে অদিতা নতুন প্রাইভেট টিউটরের নিকট পড়া শুরু করে। এতে রনি নাখোশ হয়। রনির ঘাড়ে আচঁড়ের দাগ আছে মর্মে সংবাদ পাওয়া যায়।

 

উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে  রনিকে আটক করা হয়। পরবর্তিতে তার মাথায়, ঘাড়, গলার উপরের অংশে নখের আচড়ের দাগ পাওয়া যায় তার প্রেক্ষিতে রনিকে গ্রেফতার করা হয়।রনি উক্ত হত্যা মামলায় সরাসরি জড়িত মর্মে প্রাথমিক ভাবে সাক্ষ্য প্রমান পাওয়া যাচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/মা.র/এসএপি/

অপরাধ বিভাগের আরো খবর