সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মির্জাগঞ্জে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ১ জুন, ২০২১

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে অবৈধ ড্রেজারের (খননযন্ত্র) সাহায্যে বালু লুট করছে
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ লতিফ মৃধার ছেলে মোঃ সোহেল
মৃধা। প্রকাশ্যে খালের বালু লুটপাট করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এতে নষ্ট
হচ্ছে রাস্তা-ঘাট, জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ গ্রামে
একটি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নিয়মিত দিনরাত পাচকরি খালের
বালু উত্তলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির
সভাপতি আঃ লতিফ মৃধার ছেলে মোঃ সোহেল মৃধা। তাঁর নেতৃত্বে ৩-৪ জনের
একটি চক্র সরকার দলীয়দের নাম ব্যবহার করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু লুটপাট
করছে। খাল থেকে অবৈধভাবে বালু কেটে নেওয়ার কারণে আশে-পাশের গ্রামের
বাসিন্দাদের বাড়িঘর ও ফসলি জমি যেকোন সময় ভেঙে যেতে পারে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহেল মৃধা বলেন, অমি কর্মচারী হিসেবে
সরাসরি এ কাজে করে কমিশন নেই। দীর্ঘদিন ধরে এ কজের সাথে জড়িত। নিচু
জমি ভরাট, বাসা-বাড়ি ও নির্মাণ কাজসহ বিভিন্ন কাজের জন্য স্বল্প খরচে বালু
উত্তোলন করে তা বিক্রি করি। উপজেলার সরকার দলীয়রা চালায়, গত ১০ মে
মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের করম আলী ব্রিজের পাশে বালু উত্তোলনের সময় ভ্রাম্যমাণ
আদালত বসিয়ে পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নষ্ট করে তা পুনুরায় চালু করতে আমার
৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এসময় তিনি বলেন লিখে আর লাভ কি আসছেন
কিছু খরচ নিয়ে যান।

পটুয়াখালীর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু
উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধ। বালু উত্তোলন করতে হলে সরকার স্বীকৃত নির্ধারিত
বালু মহাল থেকে তা উত্তোলন করতে হয়। পুকুর বা ডোবা থেকে বালু উত্তোলনের
সময় সেখানে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় তার কারণে আশপাশের ভূমি বা ভূমিতে
অবস্থিত রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি, গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা মারাত্মক
ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন,
অবৈধভাবে যদি কেউ খাল থেকে বালু উত্তোলন করে, তাঁর বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/রনি 
 

অপরাধ বিভাগের আরো খবর