সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নিঃসন্তান আল্পনা মা হওয়ার জন্য চুরি করেন শিশু

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

বিয়ের ৭ বছরেও মা হতে পারেননি আল্পনা খাতুন। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি বিরাজ করছিল। পারিবারিক চাপ সামলাতে নিজেকে গর্ভবতী প্রচার করে আল্পনা খাতুন। একপর্যায়ে সন্তান প্রসবের কথা বলে বাবার বাড়ি আলোকদিয়া গ্রামে আসেন। সেখান থেকেই পরিকল্পনা করেন সন্তান চুরি করে মা হওয়ার।  

সেই মোতাবেক সিরাজগঞ্জে পৃথক দুটি হাসপাতাল থেকে দুই শিশু চুরি করেন তিনি। এরপরই পুলিশ নেমে পড়ে শিশু উদ্ধার ও আসামি আটকের জন্য। এবং এই কেস সমাধান করতে সফলও হয়ে যায় পুলিশ। 

এরপর আজ, রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলম জানায়, এরা সংঘবদ্ধ কোনো চক্র নয়, মা হওয়ার ইচ্ছা পূরণের জন্যই শিশু দুটিকে চুরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দ্বিতীয় শিশুটি চুরির পর রাতেই সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি শিশুকে জীবিত ও অপরটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় আল্পনা খাতুন (২৪), তার মা ছায়ারন (৫৫), ভাই রবিউল ইসলাম (৩০), ভাইয়ের স্ত্রী মায়া খাতুন (২০), চাচী মিনা খাতুনকে (৫২) আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  

পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের থেকে জানা গেছে এ চুরির সঙ্গে সংঘবদ্ধ কোনো চক্র জড়িত নয়। নিঃসন্তান হওয়ায় পারিবারিক চাপ সামলাতে আল্পনা খাতুন শিশু চুরির পরিকল্পনা করেন।  

এদিকে, ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম শিশুটি চুরির পর থেকে সদর থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই ও র‌্যাব সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাতে থাকে। এ অবস্থায় ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় শিশু চুরির পর সলঙ্গা থানা পুলিশ, ডিবি ও র‌্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার লোকজনের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধার এবং মূল হোতা আল্পনা খাতুনকে গ্রেফতার করে। দুটি শিশু চুরির ঘটনায় মোট ৮ জন আটক রয়েছে। তাদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম।  

একুশেসংবাদ/অমৃ

অপরাধ বিভাগের আরো খবর