সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা পুলিশ সদস্যের

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ৯ অক্টোবর, ২০২০

বাগেরহাটের শরণখোলায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। নিহতের নাম জ্যোৎস্না বেগম (৩৫)। তিনি ঘাতক সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

পারিবারিক কলহের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য সাদ্দাম দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী সাতক্ষীরায় সাদ্দামের বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে নিয়ে শরণখোলায় থাকতেন তিনি।

তাদের ভাষ্যমতে, জ্যোৎস্নার আগে আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরের ৬ বছরের একটি সন্তানসহ তাকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। ৬ মাস আগে জ্যোৎস্না অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই আগের ঘরের সন্তান নিয়ে জ্যোৎস্নার সঙ্গে ঝগড়া হতো সাদ্দামের।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি। আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

শরণখোলা থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সাদ্দাম তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে লাশ পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তায় ভরে লুকিয়ে রাখে। ওই রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ শরণখোলার তাফালবাড়ি বাজার এলাকার মামুন ভিলায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে সাদ্দামকে আটকের পর পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে বস্তাবন্দি জ্যোৎস্নার লাশ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, সাদ্দাম হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন জ্যোৎস্না। স্ত্রী ও তার ৬ বছরের ছেলেসন্তানকে নিয়ে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।

সাদ্দাম হোসেন শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়ধাল গ্রামের আবদুল লতিফ গাজীর ছেলে।

ওসি সাইদুর রহমান আরও বলেন, সাদ্দাম হোসেন সন্তানসহ স্বামী পরিত্যক্তা জ্যোৎস্নাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেন। জ্যোৎস্নার সন্তানসহ সাদ্দাম হোসেন শরণখোলার তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িসংলগ্ন মামুন ভিলায় ভাড়ায় থাকতেন।

তিনি বলেন, নিহত জ্যোৎস্না ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলায়। জ্যোৎস্নার আগের ঘরের সন্তান নিয়ে কলহের জের ধরে তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম স্বীকার করেছেন।

একুশে সংবাদ/যু/এআরএম
 

অপরাধ বিভাগের আরো খবর