সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আয় না থাকায় সার্কাসের হাতি ভাঙ্গুড়ার রাস্তায়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:১০ পিএম, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বুনো হাতি কোনো গ্রামে ঢুকলে মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করে। কারণ, হাতির পায়ের নিচে পড়লে আর রক্ষা নেই। জীবন বাঁচাতে মানুষ এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে।

আবার আরেক ধরনের হাতির দেখা মেলে, যে হাতি দেখলে মানুষ গ্রাম ছেড়ে পালায় না, বরং হাতির ঘাড়ে চড়ে বসে। মানুষের নির্দেশমতো এই হাতি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। এই হাতি বুনো হাতি নয়, সার্কাসের হাতি। শারীরিক গঠনে বুনো হাতি আর সার্কাসের হাতির মধ্যে পার্থক্য নেই। পার্থক্য মনস্তত্ত্বে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া মহিলা কলেজের সামনের সড়কে দেখা হয় ভিক্ষা করতে থাকা এমন একটি সার্কাস ছেড়ে আসা হাতি ও তার মাহুতের সঙ্গে।

মাহুতের সঙ্গে কথা হলে তিনি মালিক লজ্জা পাবেন জেনে সার্কাস পার্টির নাম না জানিয়ে বলেন, একটা সময় সার্কাস থেকে প্রচুর আয় হতো। এখন আর আয় না থাকলেও অবলা প্রাণী তো না খাইয়ে রাখা যায় না। এছাড়া নিজেরও সংসার চালাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, একটা হাতির দিনে ১৫০ থেকে ২০০ কেজি খাবার লাগে। পানি খায় প্রায় ১৫০ লিটার। পানি যেকোনো পুকুর ডোবায় খাওয়ানো গেলেও খাদ্য আর যেখানে সেখানে পাওয়া যায় না। সারাদিন হেঁটে হেঁটে টাকা সংগ্রহ করি। কেউ হাসি মুখে কেউ জঘন্য ভাষায় গালাগাল করে। এভাবেই প্রতিনিয়ত চলছে তার জীবন ও সংসার।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর