শেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা শ্রীবরদীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মূলহোতা ইউসুফ আলীকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীবরদী থানা পুলিশ।
শুক্রবার( ২৪) নভেম্বর রাতে শ্রীবরদী উপজেলার ভেলুয়া ইউনিয়নের চকবন্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউসুফ স্থানীয় রফিকুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার( ২৫) নভেম্বর দুপুরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোঃ ইউসুফ আলী কিছুদিন যাবত শ্রীবরদী উপজেলার এক মাদ্রাসাছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে ফুঁসলিয়ে ইউসুফের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে পুনরায় তাকে ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় ইউসুফ। পরে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ইউসুফকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইউসূফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে ওই মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসাথে মাদ্রাসাছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোববার আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে