সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মানিকগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের অনাস্থা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:২৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৩

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন ওই ইউনিয়নের সদস্যরা।


একইসঙ্গে তারা চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন।


রবিবার (২১ মে) ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো: মোতালেব হোসেন গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


লিখিত অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার ১ নং তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। তিনি মাসিক সভা করেন না এবং সরকারী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ইউপি সদস্যদের সাথে সমন্বয় না করে ব্যাক্তিগত মতামতে কার্য পরিচালনা করে। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সেচ্ছাচারিভাবে করে ব্যাপক অনিয়ন ও দুর্নীতি করেন। এছাড়াও ইউনিয়নের অসচ্ছল মানুষের জন্য সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা যেমন ভিভিএফ, ভিজিডি, টিসিবি কার্ড, মাতৃত্বকালীন ভাতা নিয়েও তিনি দুর্নীতি করেন বলে উল্লেখ করা হয়।


এছাড়া ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে পরিষদ পরিচালনাসহ ইউনিয়ন পরিষদের চুক্তিবদ্ধ উদ্যোক্তা মোঃ মাইনুল ইসলাম থাকা অবস্থায়ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত বাহিনী দিয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারিশান প্রত্যয়ন পত্রের অতিরিক্ত ফি সহ খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে সমূদয় টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে করেন ইউপি সদস্যরা।


অনাস্থা পত্রে স্বাক্ষর করেন ১নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান, ৩নং ওয়ার্ড  সদস্য জানে আলম, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ আলী, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মাসুদ রানা , ৭নং ওয়ার্ড মোঃ মান্নান শেখ, ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মোতালেব হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মজনু শেখ। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের আকলিমা বেগম ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মোছাঃ জাহানারা বেগম অনাস্থা পত্রে স্বাক্ষর করেন।


এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছেন তা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। আমি এখনও কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি বা দেখিনি।


বিষয়টি নিয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুর রহমান ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি।


একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর