সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উল্লাপাড়ায় এলজিইডি থেকে নির্মাণ হচ্ছে ৮ সেতু

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২৩ পিএম, ৫ এপ্রিল, ২০২৩

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় এলজিইডি থেকে প্রায় ৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ টি সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। বিভিন্ন প্রকল্পে সড়ক পথে ও নদীর ওপর সেতুগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ত্রিমোহনী ঘাট সেতু সব এলাকার সাথে সহজ আর সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে দেবে।

 

উল্লাপাড়া এলজিইডি অফিস সুত্রে , উপজেলার বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ত্রিমোহনী নদী ঘাট এলাকায় দুর্গাদহ নদীর ওপর অনুর্ধ্ব ১০০ মিটার সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ৬৬ মিটার দীর্ঘ আর সি সি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। এর পেছনে ব্যয়ের পরিমাণ ৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৬ টাকা। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারী সিরাজগঞ্জ -৪ (উল্লাপাড়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম প্রধান অতিথি হয়ে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এরই মধ্যে সেতুটির পিলার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ত্রিমোহনী এলাকায় সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলে লাহিড়ী মোহনপুর বাজার হয়ে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার সাথে বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের শুকুলহাট, শুকলাই, নরসিংহ পাড়া, উধুনিয়া ইউনিয়নের বাবুলিদহ আরো কটি গ্রাম এলাকার সড়ক পথে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

 

উপজেলার গাড়াবাড়ী (বারুইয়া) এলাকায় বিলসূর্য (কচুয়া) নদীর ওপর সিরাজগঞ্জ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ৬ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৩১ টাকা ব্যয়ে ৯৬ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে । এখন এপ্রোচ সড়কের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।

এলজিইডির সেতুটিতে বদলে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখানে খেয়া নৌকায় পারাপারের অবসান হবে। দ্রুত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা পাবে। উল্লাপাড়া পৌর এলাকার বারুইয়া খেয়া ঘাট হয়ে দুটি ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০ টি গ্রামের বসতিরা উপজেলা সদরে আসা যাওয়া করেন। উপজেলার বড়হর ও পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বসতিরা চলার পথে বর্ষাকালে বারুইয়া খেয়া ঘাটে নৌকায় পারাপার হয়ে থাকেন। বারুইয়া খেয়া ঘাটে কচুয়া নদীর উপর সেতুটি নির্মাণে সাধারণ জনগনের আশা পূরণ হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে খেয়া নৌকায় পারাপারের অবসানের পাশাপাশি দ্রুত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

 

এলজিইডি অফিস সুত্রে আরো জানা যায় একই প্রকল্পে সলপ ইউনিয়নের কাশিনাথপুর- নলসোন্দা সড়কে নলসোন্দা এলাকায় প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৬ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু ও বড়হর ইউনিয়নের সড়াতৈল অলিপুর সড়কে সড়াতৈল এলাকায় ৫৪ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

সাপোর্টিং রুলার ব্রীজ প্রকল্পে উপজেলার হাটিকুমরুল - তাড়াশ সড়কে বনবারিয়া এলাকায় ৩৫ মিটার দীর্ঘ দু‍‍`টি সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। এর একটির পেছনে ব্যয় প্রায় ৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আরেকটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। একই প্রকল্পে ধামাইলকান্দি-সলঙ্গা সড়কের চরবেড়া এলাকায় প্রায় ৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। বড় চৌবিলা এলাকায় ২০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণে প্রায় ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ ব্যয় ধরা হয়েছে।

 

বড় পাঙ্গাসী ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর লিটন বলেন ত্রিমোহনী এলাকায় সেতুটি নির্মাণ পর চালুতে পাথার প্রান্তরের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। পাবনার ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার এলাকা থেকে ত্রিমোহনী হয়ে উল্লাপাড়ার সাথে দ্রুত সহজ সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

 

উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ বলেন আটটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে। সেতুগুলো নির্মাণ শেষে চালু হলে এলাকায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। জীবন মানের উন্নয়ন আর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন হবে।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, গ্রাম হবে শহরকে গুরত্ব দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন এলাকায় সেতুগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন ও চালু হলে সব দিক থেকেই গ্রাম জনপদ উন্নয়নে আরো এগুবে। বসতিদের জীবন যাপনের মান উন্নয়ন হবে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর